নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নৌকার প্রার্থী

পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ফরিদপুরের সদরপুরের সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েও মনোনয়নপত্র জমা দেননি শুশীল চন্দ্র দাস। গত মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সদরপুরের ৯টি ইউনিয়নে পঞ্চম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত মঙ্গলবার ছিল ওইসব ইউনিয়নের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। শেষ দিনে ৯ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ৭৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তবে সদরপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শুশীল চন্দ্র দাস মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
নৌকা প্রতীক পেয়েও মনোনয়নপত্র দাখিল না করার বিষয়ে শুশীল চন্দ্র দাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, মাসখানেক আগে সদরপুর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভা হয়। ওই সভায় আমি নৌকা প্রতীক চেয়েছিলাম। তবে দলীয় প্রতীক পাওয়ার ক্ষেত্রে বিধান আছে তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র কিনতে হয়। কিন্তু আমি পার্টি অফিস থেকে মনোনয়ন কিনিনি। তারপরও আমি কীভাবে নৌকা পেলাম জানি না। হঠাৎ অনলাইনে দেখি আমি নৌকা প্রতীক পেয়েছি।
নির্বাচন না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার শরীর অসুস্থ এবং ছেলে-মেয়েরা চায় না আমি নির্বাচন করি। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। এ কথা উপজেলা নেতৃবৃন্দ ও লিডার কাজী জাফর উল্লাহর একান্ত সহকারী সচিব মামুন হোসেনকে জানিয়ে দিয়েছি।
এ বিষয়ে সদরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আলম রেজা বলেন, আমাদের যেদিন উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা হয় সেদিন সদর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক চেয়েছিলেন শুশীল চন্দ্র দাস। আমরা সেভাবেই কাগজপত্র রেডি করে ঢাকায় পাঠিয়েছি। এখন শেষ সময়ে এসে ওই প্রার্থী বলছেন তার পরিবারের লোকজন তাকে নির্বাচন করতে দেবে না। এজন্য সদর ইউনিয়নে আমাদের নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী নেই।
তিনি আরও বলেন, ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন- বর্তমান চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বাবুল, সাবেক চেয়ারম্যান কাজী জাফর এবং ইয়াকুব আলী মোল্লা। আমাদের নেতা কাজী জাফর উল্লাহর সঙ্গে আলাপ করে ওই তিনজনের একজনকে সমর্থন দেওয়া যায় কিনা সেটা ভাবা হবে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সদরপুরের মোট ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী শেষ দিনেও (৭ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। ওই ইউনিয়নে মোট সাতজন স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ৭৬ জন প্রার্থী, সদস্য (মেম্বার) পদে ৩১৫ জন প্রার্থী ও সংরক্ষিত মহিলা পদে ৯৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
প্রসঙ্গত, পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১৫ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৭ ডিসেম্বর এবং ৫ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ করা হবে।
জহির হোসেন/আরএআর