স্বীকৃতি পেলেও ভাগ্য ফেরেনি বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকের

মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম ১ নম্বর সেক্টরে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক। মেজর রফিক নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন তিনি। ১৩টি সফল অপারেশনে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেও অর্থনৈতিক দুর্দশায় তার পরিবারের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন হয়নি।
বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অসহায় জীবনযাপন করছেন তিনি। মানবিক দিক বিবেচনায় দেশপ্রেমিক এ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সরকারের বিশেষ সুবিধার আওতায় সহযোগিতার দাবি জানায় এলাকাবাসী।
বাংলাদেশের বিজয় অর্জনে অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। তেমনি এক মুক্তিযোদ্ধা আবুদল খালেক। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার ঝিলংজা দরিয়ানগর এলাকার। বাবার নাম মৃত আব্দুল বারেক ও মাতার নাম বধু বেগম। খালেক তাদের বড় ছেলে।
৭ই মার্চ ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে তিনি ফেনীতে ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশ নেন। হানাদার বাহিনী, রাজাকার, আল-বদর বাহিনীর ওপর হামলাসহ ১৩টি সফল অপারেশনের কথা বলেন তিনি। কীভাবে হানাদার বাহিনীর কবল থেকে বেঁচে ফিরেছেন, আহত হয়েছেন? এ রকম ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক বলেন, প্রসবের আগমুহূর্তে সন্তানসম্ভবা এক নারীকে দুইজন হানাদার ও একজন রাজাকার ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এমন খবর পেয়ে আমিসহ আরও চারজন মুক্তিযোদ্ধা দ্রুত গিয়ে নারীকে উদ্ধার করি।
সরকারি জমিতে একটি জরাজীর্ণ কুঁড়েঘরে তিনি থাকেন। এখন মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পেয়ে তিনি খুশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি এজন্য ধন্যবাদ জানান। আগে তিনি রিকশা চালাতেন। এখন রিকশা চালানোর মতো শক্তি তার নেই। তাই তিনি রিকশাটি অন্যজনকে ভাড়া দেন।
এমএসআর