কাশিমপুর কারাগারের সহস্রাধিক বন্দি পেল করোনা টিকা

গাজীপুরে বসবাসকারী বাসিন্দা, শিল্পকারখানান শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের পর এবার কারগারে বন্দিদের করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এবং কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর ১ হাজার বন্দি ও হাজতিকে এ টিকা প্রদান করা হয়েছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, প্রথমদিন সোমবার তার কারাগারের ১ হাজার ৫০০ বন্দির মধ্যে ৪৬০ জন বন্দিকে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে অন্যদেরও এ টিকা দেওয়া হবে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল জানান, একইদিন তার কারাগারের ২৯শ কয়েদি/বন্দির মধ্যে ৬শ জনকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। আদালত ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক ও গাজীপুরের সিভিল সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সোমবার এ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি বন্দিদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
উদ্বোধনী দিনে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এসএম তরিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান, কারা হাসপাতালের চিকিৎসক (সহকারী সার্জন) সাদিয়া আফরিন তুলিসহ কারা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান জানান, রোববার গাজীপুর জেলা কারাগারেও দুই হাজার ২৩২ জন বন্দিকে করোনা
ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। রোববার পর্যন্ত গাজীপুরে পোশাক শ্রমিক এবং কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ৩৩ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৩ জনকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ২১ লাখ ৪ হাজার ৬৭৩ জনকে প্রথম ডোজ এবং ১২ লাখ ১৩ হাজার ৩০০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল কারাবন্দিকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার দেশের সব নাগরিককে করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে চাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে কারাবন্দিদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
শিহাব খান/আরআই