২৬ মার্চের মধ্যে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়নের দাবি

বাংলা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা চাই। শুধু তালিকা করলে হবে না- যারা প্রথমসারির বুদ্ধিজীবী তাদের সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সরকারকে নিতে হবে। কারণ বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন আলোর মানুষ। বুদ্ধিজীবীরা চাননি দেশ সাম্প্রদায়িক হোক, তারা কখনও চাননি দেশের ধর্ম হোক।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে যশোর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুদ্ধিজীবী হত্যার ৫০ বছর পূর্তিতে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণমূলক’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, জ্ঞানের অস্ত্র মহাশক্তিধর ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে শক্তিশালী। বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন জ্ঞানের অস্ত্র। পাকিস্তানিরা এই জ্ঞানের অস্ত্র-বুদ্ধিজীবীদের নিধনে মেতেছিল। পাকিস্তানিরা ভেবেছিল বাঙালিরা জয় বাংলা বলে; জয়বাংলার শক্তিটুকু বিনাশ করে দেই- জয়বাংলা হয় কী করে দেখব। তাই ২৫ মার্চ বুদ্ধিজীবীদের নিধনে মেতে ওঠে; যা চলে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাদের অপরাধ হিন্দু নয়, বৌদ্ধ নয়, খ্রিস্টান নয়; তাদের অপরাধ তাদের কাছে জ্ঞানের অস্ত্র ছিল। আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধের ৮ মাস ২১ দিন ধরেই বুদ্ধিজীবী নিধন হয়েছিল।
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শওকত আরা হোসেন, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন।
আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, বীর মুক্তিযুদ্ধা অ্যাডভোকেট সালেহা বেগম, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম উদ্দৌলা, প্রেস ক্লাব যশোরের সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুকুমার দাস, তির্যক যশোরের সাধারণ সম্পাদক দীপংকর দাস রতন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা সাধন কুমার দাস, শ্রাবণী সুর ও আহসান হাবিব পারভেজ।
জাহিদ হাসান/আরএআর