চাঁদপুর লঞ্চঘাটে চালকদের দ্বারা নিগৃহীত যাত্রীরা

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে সিএনজি-অটোরিকশাচালকদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ যাত্রীরা। কোনোভাবেই চালকদের নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। তাদের দৌরাত্ম্য এখন অনেকটা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। কিছুদিন পর পর বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ থানা অভিযান পরিচালনা করলেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
চাঁদপুর লঞ্চঘাট দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকে। ঢাকা-চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চল নৌরূটে প্রতিদিন চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে অর্ধ শতাধিক লঞ্চ আসা-যাওয়া করে থাকে। তাই প্রতিদিন হাজারো যাত্রী চাঁদপুর লঞ্চঘাট হয়ে যাতায়াত করে থাকে। লঞ্চের যাত্রীরা এই ঘাটে সিএনজি-অটোরিকশাচালকদের দ্বারা চরমভাবে নিগৃহীত হচ্ছে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হচ্ছে, চালকরা একেবারে ঘাটের পল্টনের ভিতরে প্রবেশ করে যাত্রীদের টানাহেচড়া করছে। চালকদের বিরুদ্ধে বার বার অভিযোগ করেও কোনো সমাধান হয়নি বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ঢাকা থেকে আসা আব এ জমজম লঞ্চের যাত্রী রাশেদুল হাসান ও জাহিদ বলেন, লঞ্চ থেকে ঘাটে নামার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের ব্যাগ নিয়ে চালকরা টানাটানি করছে। প্রতিনিয়ত যাত্রীদের সঙ্গে চালকদের ঝগড়া, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটছে। কর্তৃপক্ষ এই নৈরাজ্যের কোনো সমাধান করছে না। চাঁদপুর লঞ্চঘাটটি যেন শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনা হয়, সেই দাবি জানাচ্ছি।

চাঁদপুর লঞ্চ মালিদের প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার বলেন, আমরা বহুবার বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশকে যাত্রী হয়রানির বিষয়ে অবহিত করেছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি। দিন দিন সিএনজি-অটোরিকশাচালকদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রী সেবার নামে কিছুই নেই। দ্রুত সেবার মান বৃদ্ধি করতে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া দরকার।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক মো. শাহআলম বলেন, চাঁদপুর লঞ্চঘাটের শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে আমরা নৌ থানাকে অবহিত করেছি। ঘাটের ভেতরে যাতে কোনো চালক কিংবা কুলি যাত্রীদের হয়রানি না করতে পারে, তার জন্য নৌ পুলিশের দায়িত্ব পালন করার কথা।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, লঞ্চঘাটের ভেতরে চালকের হয়রানি নিয়ে আমরাও বিব্রত। বহুবার চালকদের ধরে এনে বুঝিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তারপরও একই কাজ করে যাচ্ছে। ঘাটে যাত্রী হয়রানি বন্ধ করতে পুলিশের সদস্যরা নিয়জিত থাকে। তারপরও কিছু চালক ঘাটের অন্যপাশ দিয়ে ভেতরে চলে যায়। তারা এসব হয়রানি বন্ধ না করলে আমারা আরও কঠোর হতে বাধ্য হব।
শরীফুল ইসলাম/আরআই