স্বামীকে না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

কয়েকদিন আগে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়ার মুনসিদপুরের আলহাজ হাবিবুর রহমান হবির ছেলে রানাউর রহমান রানার বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজে যোগদান করেন সুমন আলী (৩০)। কাজের শুরু থেকেই রানা তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেন। এতে সুমন চরমভাবে রানার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ধারালো হাঁসুয়া নিয়ে রানার বাড়িতে আসেন সুমন। এ সময় রানাকে না পেয়ে বাসার তিন তলার ছাদে রান্না করতে থাকা তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শারমিন শিলাকে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকেন সুমন। স্ত্রীর চিৎকারে রুম থেকে রানা বের হয়ে বাড়ির ছাদে যান। এ সময় সুমন হাঁসুয়া দিয়ে রানাকেও কোপ দেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তিতে সুমন তিন তলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে গুরুতরভাবে আহত হন। এরইমধ্যে গৃহবধূ শারমিন শিলা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান আসাদ এসব নিশ্চিত করেন।
এদিকে এ ঘটনায় নিহত শারমিন শিলার বড় ভাই জুয়েল রানা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সুমন আলীকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মামলার একমাত্র আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সুস্থ হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক সুমনকে উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহতের স্বামী রানাও একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মূলত রানাকে হত্যা করতে এসে না পেয়ে তার স্ত্রীকে হত্যা করেন সুমন। হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো হাঁসুয়াটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মুনশিদপুর গ্রামে গৃহবধূ শারমিন শিলাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত শারমিন শিলা ওই গ্রামের রানাউর রহমান রানার স্ত্রী। এ ঘটনায় গ্রেফতার সুমন আলী একই উপজেলার সরাইকান্দি গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে।
রাকিব হাসনাত/আরএআর