শেবাচিমের বার্ন ইউনিট বন্ধ, বিপাকে লঞ্চে দগ্ধ রোগীরা

Dhaka Post Desk

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০১:১৮ পিএম


শেবাচিমের বার্ন ইউনিট বন্ধ, বিপাকে লঞ্চে দগ্ধ রোগীরা

বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এম‌ভি অভিযান-১০ নামে ল‌ঞ্চে অগ্নিদগ্ধ ৭০ জন রোগী। চিকিৎসক না থাকায় এখন রোগীদের ভরসা ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সরা।

লঞ্চ দুর্ঘটনায় আহত রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে জানান, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। সার্জারি ওয়ার্ডের মেঝেতে তাদের স্বজনদের চিকিৎসা চলছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে কর্মরত একাধিক নার্স জানিয়েছেন, ইউনিটটি চালু না থাকায় অগ্নিদগ্ধ রোগীরা মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়ছেন। ঢাকায় যেতে না পারা রোগীরা শেবাচিমের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাসেবা নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

এদিকে সার্জারি বিভাগে ভর্তি হওয়া অগ্নিদগ্ধ রোগীরা জানান, সার্জারি বিভাগে অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সরাই রোগীদের একমাত্র ভরসা। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১২ মার্চ হাসপাতালের নিচতলায় আটটি শয্যা নিয়ে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ চালু করা হয়েছিল। বিভাগে আটজন চিকিৎসক ও ১৬ জন নার্সের পদ রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিটটি ৩০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। চালু থাকা পাঁচ বছরে প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি রোগী বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিয়েছেন।

গত বছরের এপ্রিল মাসে শেবাচিমের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. এমএ আজাদের রহস্যজনক মৃত্যুর পর থেকেই কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বার্ন ইউনিটটি। সর্বশেষ ওই বছরের ১৫ মে থেকে ইউনিটটি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম জানান, অগ্নিদগ্ধ যেসব রোগী আছেন তাদের সার্জারি ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত শেবাচিম হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ রোগীদের জন্য চালু করা হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি

টাইমলাইন

Link copied