লঞ্চে আগুন : নিহতদের দাফনে ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা
লঞ্চের আগুনে বরগুনার নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার ও আহতদের সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান।
জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, যেহেতু লঞ্চটি বরগুনায় আসছিল ও যাত্রীদের অনেকেই বরগুনার। তাই আমরা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে ঘটনাস্থলে টিম পাঠিয়েছি। নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে বরগুনার যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারকে আমরা ২৫ হাজার এবং যারা আহত আছেন তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। উদ্ধার হওয়া লঞ্চযাত্রীরা জানায়, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর মাঝখানে পৌঁছালে হঠাৎ লঞ্চটিতে আগুন ধরে যায়। জীবন বাঁচাতে অনেকেই নদীতে লাফিয়ে সাঁতরে তীরে উঠেন। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় দগ্ধ ৭০ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে তাদের ভর্তি করা হয়। আহতদের বেশিরভাগই ঝালকাঠি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেবাচিমের চিকিৎসক মো. আনিসুজ্জামান। তিনি জানান, ভর্তি রোগীদের মধ্যে সাতজন শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ শিশুকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত পুরুষ-নারী ও শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আহতদের বেশির ভাগেরই শরীরের বিভিন্ন স্থান দগ্ধ হয়েছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএসআর