কিশোরগঞ্জে আ.লীগের ৩ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

চতুর্থ ধাপে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) ইউপি নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ মনোনীত তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
তারা হলেন কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন মিলন ও জালালপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল খালেক সরকার রাজু এবং হোসেনপুর উপজেলার জিনারী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবদুস ছালাম।
জানা গেছে, কটিয়াদী উপজেলার ৯টি ইউপির মধ্যে ৭টিতেই পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। মাত্র দুটি ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন তারা। এ উপজেলায় পরাজিত ৭ প্রার্থীর মধ্যে দুজন বনগ্রাম ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন মিলন ও জালালপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল খালেক সরকার রাজু জামানত হারিয়েছেন।
বনগ্রাম ইউনিয়নে মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ২০ হাজার ৮৯৭। এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন মিলন পেয়েছেন ২ হাজার ২৩৫ ভোট। আনারস প্রতীক নিয়ে ৮ হাজার ৮৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাইফুল্লাহ জামান সরকার চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৪৭ ভোট।
জালালপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী রফিকুল আলম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চশমা প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ৫৮৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল খালেক সরকার রাজু নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পেয়েছেন ৬৪৭ ভোট। ছয়জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে তার অবস্থান পঞ্চম। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মতিউর রহমান (টেবিল ফ্যান) পেয়েছেন ২ হাজার ৪৫৩ ভোট। এ ইউনিয়নে মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১২ হাজার ২২২।
অন্যদিকে জেলার হোসেনপুরে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৩টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী এবং ৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে পরাজিত আওয়ামী লীগের ৩ প্রার্থীর মধ্যে এক প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তিনি হলেন উপজেলার জিনারী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবদুস ছালাম। এখানে মো. আজহারুল ইসলাম রহিদ (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান বিজয়ী হয়েছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, প্রতিটি ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বৈধ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে সেই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। ইউপি নির্বাচনী আইনে এই তিন প্রার্থী বৈধ ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার (২৬ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের ২২টি ইউনিয়নে পরিষদ নির্বাচনে মাত্র ৯টিতে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা। বাকি ১৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
এসকে রাসেল/এনএ