মাকে হারিয়ে বেঁচে ফিরেছে রুমি

শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ মা রোকসানা বেগমকে হারিয়ে অলৌকিকভাবে বেঁচে ফিরেছে ছয় বছরের শিশুকন্যা রুমি। মারাত্মক আহত হয়ে রুমি এখন জেলা সদর হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সরেজমিন সেমাবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এমন চিত্রই দেখা যায়, ভাঙা দুটি দাঁত ও পা নিয়ে শিশু রুমি কাঁতরাচ্ছে হাসপাতালের বেডে।
এ বিষয়ে দুপুরে কথা হয় আহত রুমির মামা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, আমার ভাগ্নি রুমি রক্তশূন্যতা রোগ থেলাসেমিয়ায় আক্রান্ত। তাকে প্রতি মাসেই রক্ত দিতে হয়। এটাই কাল হলো আমাদের ভাগ্যে। রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকালে ভাগ্নি রুমিকে রক্ত দিতেই পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে শেরপুর জেলা শহরের দিকে রওনা হই। পথিমধ্যে বাজিতখিলা ইউনিয়নের মির্জাপুরে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে আমার বোন ও ভাতিজা সেলিম ও সেলিমের স্ত্রী ময়না মারা যায়।
নিহত অন্যরা হলেন চালক নালিতাবাড়ী উপজেলার বন্ধধারা গ্রামের জাবেদ আলী, রাজনগর ইউনিয়নের চাঁদগাঁও গ্রামের নায়েব আলীর ও মৃত কেতু মিয়ার ছেলে লাল মিয়া।
শিশু রুমির বিষয়ে সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. খায়রুল কবির সুমনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঢাকা পোস্টকে জানান, রুমিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে ময়মনসিংহ মেডিকেলে স্থানান্তর করব। দুর্ঘটনায় জীবিত আরেকজন মামুন মিয়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান আবদুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুর্ঘটনার পর ট্রাকচালক পালিয়ে গেছেন। কিন্তু ট্রাকটিকে আটক করে সদর থানায় আনা হয়েছে।
জাহিদুল খান সৌরভ/এনএ