বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালে
অবৈধ উপায়ে ভারতীয় সীমানায় গরু আনতে গিয়ে বিএসএফ'র গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন। পরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদাহর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আরিফুল ইসলাম ইসু (২৪) নামে ওই যুবককে।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে মালদাহর হবিবপুর ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন নাঙলডাঙ্গা ও ইটাঘাঁটি গ্রামের মাঝে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ আহত আরিফুল ইসলাম চাঁপাইনবাবঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রুকুনপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ কুড়হানের ছেলে। তার বাম পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি মালদহের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গরু আনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আরিফুলের পরিবার।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিএসএফের দাবি, বুধবার গভীর রাতে একদল পাচারকারী নাঙ্গলডাঙ্গা ও ইটাঘাঁটির মাঝের সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের চেষ্টা করছিল। এ সময় বিএসএফের ১৫৯ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা পাচারকারীদের ধাওয়া করে। পরে পাচারকারীরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। বিএসএফ পাল্টা গুলি চালায়। এতে ওই পাচারকারী জখম হন। বাকিরা বাংলাদেশের দিকে পালিয়ে যায়।
আহত যুবকের ভাই সারিফুল ইসলাম মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার ভোরে গরু আনতে সীমান্তের ওপারে গিয়েছিল আমার ভাই। পরে শুনতে পাই বিএসএফ তাকে গুলি করেছে। তবে বেঁচে আছে না মরে গেছে তা নিশ্চিত নই। কারণ কেউ বলছে মারা গেছে, আবার কেউ বলছে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে বিজিবির কাছে লোক পাঠিয়েছিলাম কিন্তু তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না বলেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আমির হোসেন মোল্লা মুঠোফোনে জানান, এটি নওগাঁর ১৬ বিজিবি ব্যাটলিয়নের আওতাধীন এলাকা। তারাই বিস্তারিত বলতে পারবে। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমরা গরু আনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি।
নওগাঁ ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিএসএফের হাতে একজন আটকের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে আমরা সীমান্তে গুলিবর্ষণের কোনো তথ্য পায়নি।
মো. জাহাঙ্গীর আলম/আরআই
