নির্বাচিত হয়েই পোস্টার অপসারণে ফেনী পৌর মেয়র

নির্বাচন মানেই প্রচারণা। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন হলো প্রচারণার অন্যতম মাধ্যম। ফেনী পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী নির্বাচনের দুই দিন পর নিজের নির্বাচনী পোস্টার নিজেই অপসারণ করছেন। অন্য প্রার্থীদের অল্প সময়ের মধ্যে তাদের পোস্টার সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের ট্রাংক রোড এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজের নির্বাচনী পোস্টার অপসারণের কাজ শুরু করেন তিনি।
ফেনীর সর্বকনিষ্ঠ মেয়রের এই কর্মকাণ্ডকে ইতিবাচক দেখছেন পৌরবাসী। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শপথের পূর্বেই কাজে নেমে গেছেন মেয়র, এজন্য তারা অনেক খুশি। ইতোপূর্বে দেখা গেছে নির্বাচনের পরে পোস্টারগুলো দিনের পর দিন পড়ে থাকত, এতে করে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হতো। এবার নির্বাচনের ২ দিন পরই এসব পোস্টার অপসারণের মাধ্যমে নতুন মেয়র নতুন দিনের শুভ সূচনা করল। এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার।
স্বপন মিয়াজী বলেন, পৌর নির্বাচন উপলক্ষে শহরে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। সব প্রার্থী সমানতালে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু নির্বাচনের পরে এসব পোস্টার ও প্রচারণাসামগ্রী শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করছে। তাই আমি আমার পোস্টার সরিয়ে নিয়েছি। আমি আশা করছি অন্য প্রার্থীরাও নিজেদের পোস্টার সরিয়ে নেবেন।
নগর পরিকল্পনার ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বপন মিয়াজী বলেন, গ্যাজেট হোক, শপথ গ্রহণ করি তারপর পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করব। এ শহরের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন পরিকল্পনা মাথায় রয়েছে। আস্তে আস্তে তা বাস্তবায়ন করব। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই নান্দনিক শহরে পরিণত হবে ফেনী।
পোস্টার অপসারণের সময় তার সঙ্গে থাকা ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনুল কবির শামীম বলেন, নাগরিকদের পরিচ্ছন্ন শহর উপহার দেওয়ার জন্য আমাদের প্রার্থীর এ উদ্যোগ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আশা করছি এ শহরের আমূল পরিবর্তন তার হাত ধরেই আসবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী পৌর যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত রাজু ও সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আকবর অভি প্রমুখ।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বিপুল ভোটে ফেনী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মিয়াজী স্বপন। নৌকা প্রতীকে তিনি ৬৯ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন।
এ ছাড়াও মেয়র পদে বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলাল উদ্দিন আলাল ১ হাজার ৯৪৯ ভোট, জাতীয় পার্টি সমর্থিত লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ইয়ামিন হাসান ইমন ২১০ ভোট, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সমর্থিত সিংহ প্রতীকের প্রার্থী তারিকুল ইসলাম ৩২০ ভোট ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী গোলামুর রহমান আজম পেয়েছেন ২৫১ ভোট পেয়েছেন।
হোসাইন আরমান/এমএসআর