সিলগালা ছিল না ব্যালটের বস্তা, ফেরত পাঠালেন আদালত
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সরুলিয়া ইউপি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে আদালতে ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানান এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। আদালতের নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে তালা নির্বাচন কার্যালয় থেকে ব্যালটগুলো নিয়ে যাওয়া হয় আদালতে।
তবে বস্তার মুখ খোলা থাকায় ব্যালট গ্রহণ করেননি আদালত। অন্যদিকে, ভোট পুনরায় গণনার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ তুলেছেন আদালতে যাওয়া ওই প্রার্থী। প্রথম ধাপে ২০ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় তালা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে।
এরমধ্যে রয়েছে সরুলিয়া ইউনিয়ন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করেন মতিয়ার রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে অংশ নেন আব্দুর রব পলাশ ও মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে আব্দুল হাই। রিটানিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলাফলে নৌকা প্রতীক ৪৯০০, আনারস প্রতীক ৫২৯৫ ও মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে আব্দুল হাই পেয়েছেন ৫৬৪৬ ভোট।
এদিকে, ভোটগ্রহণের আগে ভোটের দিন ও ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগে সাতক্ষীরা নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রব পলাশ। মামলায় ৫ জানুয়ারি ভোট পুনরায় গণনার জন্য ব্যালট পেপারগুলো আদালতে দাখিলের নির্দেশনা দেন বিচারক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন ফরাজী।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রব পলাশ জানান, উপজেলা নির্বাচন অফিসে থেকে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী কাগজপত্র বিচারকের নির্দেশে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ব্যালট পেপারের বস্তাগুলো নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে। তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। মূলত ভোট পুনরায় গণনায় তিনি পরাজিত নিশ্চিত জেনেই কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন। এ ঘটনায় আমি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছি।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী পঙ্কজ কুমার দেবনাথ বলেন, আদালত ব্যালট পেপারগুলো তলব করেছিল। তবে বস্তার মুখ সিলগালা না থাকায় আদালতের বিচারক সেগুলো গ্রহণ করেননি। এই ঘটনায় পরবর্তীতে তিনি আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
তালা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাহুল রায় জানান, ব্যালটের বস্তাগুলো একটি ঘরের মধ্যে স্তূপ করে রাখা ছিল। সেখানে অনেকগুলো বস্তা রয়েছে। সেখান থেকে বের করার সময় বস্তার মুখটা খুলে যায় সে কারণে আদালত ব্যালটের বস্তাগুলো গ্রহণ করেননি। এই বিষয়ে আমরা আদালতের পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি।
ব্যালট আদালতে নিতে বাধা দানের অভিযোগের বিষয়ে তিনি জানান, কেউ বাঁধা দেননি। তবে চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বস্তার মুখ খোলা থাকায় আপত্তি করেছেন।
আকরামুল ইসলাম/এমএসআর