জমি দখলে সহায়তার অভিযোগে ওসিসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বিরোধপূর্ণ জমি দখলে সহায়তা ও ঘুষ দাবির অভিযোগে নোয়াখালীর চাটখিল থানার ওসি আবুল খায়ের ও দুই এএসআইসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৭ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক এ নির্দেশ দেন।
জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৭ নম্বর আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন উপজেলার উত্তর বদলকোট ইউনিয়নের কাজী রফিক উল্লার ছেলে আবদুল ওয়াহেদ।
মামলার আবেদনে আবদুল ওয়াহেদ অভিযোগ করেন, চাটখিল উপজেলার বদলকোট মৌজার বিএস ১২৪৬ খতিয়ানের ১০২৮ দাগে তার দখলীয় জায়গা ১৩ জানুয়ারি সকালে প্রতিপক্ষ মো. শহিদুল্লাহ ও মো. পারভেজ দলবল নিয়ে দখল করতে আসেন। তিনি বাধা দিলে প্রতিপক্ষ তাকে হুমকি দিয়ে বলে ‘তারা থানা-পুলিশ কন্ট্রাক্ট করে এসেছে, কোনো প্রকার বাধা দিলে এখানে লাশ পড়বে’।
আবদুল ওয়াহেদ আরও অভিযোগ করেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তিনি জাতীয় ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে চাটখিল থানার এসআই মো. ওয়াহেদ ঘটনাস্থলে গেলে দখলকারীরা পালিয়ে যান। পরে একই থানার দুই এএসআই জাকির হোসেন ও মো. সুমন ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করায় তাদেরকে হুমকি-ধামকি দেন।
দুই এএসআইয়ের কথা অনুযায়ী কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে তাদের রাত ১০টা পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রাখা হয়। আর বিপরীতে প্রতিপক্ষকে রাতের অন্ধকারে জায়গা দখলের সুযোগ করে দেওয়া হয়। প্রতিপক্ষ জেনারেটরের আলোয় জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। রাতে বাড়িতে এসে দখলের ঘটনা দেখার পর পরদিন পুনরায় থানায় গেলে দুই এএসআই তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।
মামলার বাদী আবদুল ওয়াহেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। তাই আদালতের কাছে যেতে বাধ্য হয়েছি। আদালত পিবিআইকে তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাটখিল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়েরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে চাটখিল থানার পরিদর্শক তদন্ত হুমায়ুন কবির কল রিসিভ করেন। তিনি জানান ওসি অসুস্থ।
পিবিআই জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান মুন্সী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালত থেকে মামলার কাগজপত্র এখনো হাতে পাইনি। কাগজপত্র পেলে আমরা নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব।
হাসিব আল আমিন/আরএইচ
