মানিকগঞ্জে গৃহবধূ হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে গৃহবধূ সালেহা আক্তারকে হত্যার দায়ে রেজাউল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম করাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় তাকে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রেজাউল মণ্ডল মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নিহালপুর এলাকার মৃত সামছুল মণ্ডলের ছেলে। তিনি উপজেলার আরিচা ফেরিঘাটে চা-পানের দোকান করতেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছেন।
রায়ের নথি সূত্রে জানা গেছে, পরকীয়া সর্ম্পকের জেরে ২০১১ সালের ১ অক্টোবর মধ্যরাতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গৃহবধূ সালেহা আক্তারকে বাড়ির অদূরে আবহাওয়া অফিসের পাশে ডেকে নিয়ে যায় আসামি রেজাউল। পরে সালেহাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিলে রাজি না হওয়ায় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সালেহার পরণের শাড়ির আঁচল গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায় রেজাউল। এ ঘটনার পরের দিন ২ অক্টোবর রেজাউলকে আসামি করে শিবালয় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই ইসমাইল হোসেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপ্রত্র দাখিল করেন এসআই মোস্তাফিজুর রহমান। এ মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আসামি রেজাউলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নিরঞ্জন বসাক এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসাইন খান।
সোহেল হোসেন/আরআই