যেভাবে খুন হয় অটোভ্যানচালক সিয়াম
একটি স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার পাশাপাশি ভাড়ায় অটোভ্যান চালাতো ময়মনসিংহের ফুলপুরের মকবুল হোসেনের ছেলে সিয়াম (১৩)। প্রতিদিনের মতো গত ২৯ জানুয়ারি উপজেলার কাকনি গ্রামের রিয়াজতের অটোভ্যান ভাড়া নিয়ে বের হয় সে। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলেও বাড়ি ফেরেনি সিয়াম। পরদিন তারাকান্দা কাটলী বাজার ব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় তার লাশ। তবে মেলেনি তার অটোভ্যান।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, তারাকান্দা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হলে মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখায় ন্যস্ত হয়। পরে ডিবির ওসিসহ তার টিম ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য রাতদিন এলাকায় অবস্থান করেন।
পরে ঘটনার চারদিনের মধ্যেই বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) হত্যায় জড়িত দুই ঘাতককে রাজধানী ঢাকার কেরানীগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ থেকে এক গ্যারেজ মালিককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় তারা।
গ্রেফতাররা হল— ফুলপুরের বড়শুনই চকহরিরামপুর এলাকার মিজানুর রহমান ওরফে মেজু (১৭), একই এলাকার খাইরুল ইসলাম (১৬) ও গ্যারেজ মালিক ময়মনসিংহ শহরের র্যালির মোড় এলাকার রতন কুমার সাহা (৪৫)।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জানান, অটোভ্যানটি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যই ওই দুই ঘাতক ঘটনার দিন সিয়ামের সঙ্গে ২০০ টাকা ভাড়ায় চুক্তি করে তারাকান্দা উপজেলায় নিয়ে যায়। সারাদিন তাকে নিয়ে তারাকান্দা এলাকায় ঘুরাফেরা করে।
তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থলে ব্রিজের নিচে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করে ভ্যানটি নিয়ে ময়মনসিংহ শহরে চলে আসে তারা। পরে পাটগুদাম র্যালির মোড় রতনের গ্যারেজে ৫ হাজার ৯০০ টাকায় ভ্যানটি বিক্রি করে টাকা নিয়ে ঢাকায় চলে যায় ঘাতকরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনায় গ্রেফতারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
উবায়দুল হক/এমএসআর