পাবনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

পাবনায় ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম (৪০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান এ আদেশ দেন।
পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ খান রতন ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবু সাঈদ খান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ভাঁড়ারা ইউনিয়নের নলদহ গ্রামের মৃত হাচেন খাঁর ছেলে।
অন্য আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার বিজয়রামপুর গ্রামের মহির বিশ্বাসের ছেলে নাদের বিশ্বাস (৫৩) ও নলদহ গ্রামের জেলেমুদ্দিনের ছেলের সমো (৩১)।
এই এসময় ২ জনকে জামিন দেওয়া হয়। তারা হলেন ভাঁড়ারা ইউপির দিঘলকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আলম ( ৩৩), চকভাড়ারা গ্রামের মৃত রানু শেখের ছেলে শামসুল হোসেন (৪০)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ভাঁড়ারা ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম হত্যা মামলায় বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানসহ ৫ আসামি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। এ সময় বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আবু সাঈদ খানসহসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দুইজনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানকে একনজর দেখার জন্য আদালত চত্বরে শত শত সমর্থক জড়ো হোন। এ সময় কড়া নিরাপত্তায় তাকে পাবনা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ১১ ডিসেম্বর সকালে ভাঁড়ারা ইউনিয়নের কোলাদি গ্রামের চারাবটতলা এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান মাহমুদের ১৫-২০ জন সমর্থক ভোটের প্রচারণায় বের হন। এ সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের লোকজনের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে । এতে সুলতান মাহমুদের চাচাতো ভাই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলমসহ দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় ইয়াসিন আলম মারা যান। এ ঘটনায় পরদিন ১২ ডিসেম্বর রাতে নিহত ইয়াসিন আলমের বাবা মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে ৩৪ জনের নামে হত্যা মামলা করেন। ওইদিন নির্বাচন কমিশন থেকে ভাঁড়ারা ইউনিয়নের সকল পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
রাকিব হাসনাত/আরএআর