টিকা কীভাবে নেবে জানে না সাধারণ মানুষ
করোনাভাইরাসের টিকা (ভ্যাকসিন) প্রদান কার্যক্রম ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। জেলা থেকে ৫ হাজার ৭৭৫ জনের তালিকা স্বাস্থ্য বিভাগে পাঠানো হয়। সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে যারা নিবন্ধন করবেন শুধু তারাই টিকা পাবেন।
তবে সাধারণ মানুষ এখনও জানেন না কীভাবে টিকা নিতে হবে বা নিবন্ধন করতে হবে। আবার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে অনেকে টিকা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন না। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এ টিকায় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি মেহেরপুরে আসে ১২ হাজার ডোজ টিকা। যা ৬ হাজার মানুষকে প্রদান করা যাবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসক, নার্স, বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষক, পুলিশ ও সাংবাদিকদের তালিকা প্রস্তুত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
শুধু তারাই সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। যারা নিবন্ধন করবেন তারাই আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল, গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।
তবে টিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। অনেকেই সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে কীভাবে নিবন্ধন করতে হবে তাও জানেন না। আবার বড় একটি অংশের নেই স্মার্ট ফোন। আবার কেউ কেউ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে টিকা নিতে চাচ্ছেন না।
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান, যুবকরা টিকা নিতে আগ্রহী। কিন্তু কোন পন্থায় গেলে টিকা পাবেন তা তারা জানেন না। আবার সুরক্ষা অ্যাপ সম্পর্কে কারও জানা নেই। গ্রামাঞ্চলের অনেক মানুষের হাতে নেই স্মার্ট ফোন। তাহলে তারা কীভাবে নিবন্ধন করবেন এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারাণা নেই। ফলে আগ্রহ থাকলেই অনেকেই টিকা নিতে পারবেন না।
মেহেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নুরুল আহম্মেদ বলেন, ‘টিকার বিষয়ে তেমন কোনো প্রচার প্রচারণা নেই। যার শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিস আছে তারা টিকা নিতে পারবেন কি না তাও তারা জানে না। ফলে টিকা নিতে ভয় পাচ্ছেন তিনি। এজন্য ব্যাপক প্রচারের জন্য আহ্বান জানান তিনি।
সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে জানান, সুরক্ষা অ্যাপের ভেতরে গেলেই সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কারা টিকা নিতে পারবেন আর কারা নিতে পারবেন না; এ বিষয়টির সমাধানও সেখানে আছে। আর এ টিকার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে ১৮ বছরের নিচে কাউকে টিকা প্রদান করা হবে না। টিকা প্রদানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান বলেন, অপপ্রচারই টিকার মূল বাধা। তবে বেশি বেশি প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমেই সব গুজব দূর করা হবে। তবে কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করলে তাৎক্ষণিক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএসআর