রংপুরে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ২০৪

রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২০৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। এ সময় নতুন করে মৃত্যু নেই। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৭ শতাংশে। এ নিয়ে এক সপ্তাহে (শনি-শুক্র) শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৫১ জন। একই সময়ে বিভাগজুড়ে করোনা আক্রান্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম।
সূত্র জানায়, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের আট জেলায় ৮৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। শনাক্তের হার ছিল ২৭ দশমিক ২২। এদিন তিনজন মারা গিয়েছিলেন। এর আগে গত বুধবার ৮৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছিলেন ২২৬ জন। শনাক্তের হার ছিল ২৭ দশমিক শূন্য ৭। এদিন একজনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) রংপুর বিভাগের আট জেলায় ৭৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে রংপুরে সর্বোচ্চ ৬৫, পঞ্চগড়ের ১৯, নীলফামারীর ১১, লালমনিরহাটের ২৩, কুড়িগ্রামের ১৪, ঠাকুরগাঁওয়ে ২১, দিনাজপুরে ৪০ ও গাইবান্ধার ১১ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৩৯ জন। বর্তমানে বিভাগে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে গুরুত্বর ৭০ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে সংকটাপন্ন ১৭ রোগীকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। বাকিদের বাসায় রেখে চিকিৎসা চলছে।
পরিচালক আরও জানিয়েছে, ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিভাগে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৬৫ জনের। এর মধ্যে দিনাজপুর জেলায় সর্বোচ্চ ৩৩৬ জন মারা যান। এ ছাড়া রংপুরে ২৯৫, ঠাকুরগাঁওয়ে ২৫৬, পঞ্চগড়ে ৮৩, নীলফামারীতে ৯১, লালমনিরহাটে ৭১, কুড়িগ্রামে ৬৯ ও গাইবান্ধায় ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রংপুর বিভাগে এ পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ২৮ হাজার ৭১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৮১৯ জনে। এর মধ্যে বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ৫৭ হাজার ৯২ জন।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, গণটিকাসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে টিকার আওতায় আনার ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আগের চেয়ে কমে আসছে। বর্তমানে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন এবং করোনার ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। এ পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে বের হতে হলে মুখে মাস্ক পরিধান অপরিহার্য।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই