মাহফিলগামী ট্রলারডুবি: এখনো নিখোঁজ দুই মুসল্লি

বরিশাল সদর উপজেলার নলচর সংলগ্ন আড়িয়াল খাঁ নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিখোঁজের স্বজন জাহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, হাজী আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে ৪৫ জনের কাফেলা নিয়ে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থেকে মাহফিলে যাচ্ছিলেন। ট্রলারডুবির পর ৪০ জন জীবিত ফিরলেও পাঁচজন নিখোঁজ হন। এর মধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন দুইজন। তারা হলেন- উপজেলার রুদ্রপুরের মৃত কছিমুদ্দিম শেখের পুত্র রফিকুল ইসলাম (৬০) ও মৃত আব্দুল ওয়াহেদ আলীর পুত্র মো. আব্দুল কুদ্দুস(৭২)।
তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তারা হলেন- উপজেলার কাবারীপাড়ার হাজী আব্দুল কুদ্দুস (৭০), মৃত হাবিবুর রহমানের পুত্র জাহিদুল ইসলাম (৫৫) ও গোলাম রব্বানীর পুত্র মো. সিরাজুল ইসলাম (৫২)। সিরাজুল ইসলাম আমার মামাতো ভাই।
মরদেহগুলো চরমোনাই মাহফিলের মাঠে রাখা আছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত জামান। তিনি জানান, আইনি প্রিক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ছাড়া উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ওদিকে সকাল থেকেই কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। সর্বশেষ বিকেল সাড়ে ৫টায় ট্রলারটি শনাক্ত করে সেখানে বয়া বেঁধে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী বিএম কলেজের ছাত্র দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাত দেড়টার দিকে চিৎকার শুনে নদীর তীরে এসে দেখি ট্রলার ডুবে গেছে। তখন ৯৯৯ নম্বরে কল করি। তবে রাতে সহায়তা চেয়ে কল করা হলেও সকাল ৭টায় নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। দেলোয়ার বলেন, ট্রলারে থাকা মুসল্লিরা জানিয়েছেন যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ ধাক্কা দিলে ট্রলারটি ডুবে যায়।
বরিশাল নৌ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার খোরশেদ আলম বলেন, রাতে টহল দিলেও দিনে আবার ডুবুরি নামিয়ে খোঁজা হবে। নিখোঁজ দুজনের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই