বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আরও বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ করতে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
সোমবার (২৮ মার্চ) সকালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ভবনে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ও বাংলাদেশে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য দূত রুশনারা আলী এমপি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসনের সঙ্গে এক আলোচনার পর সালমান এফ রহমান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়ানোর উপায়সহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় ব্রিটিশ এমপি রুশনারা আলী বলেন, যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি সুদৃঢ় অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে এবং এক্ষেত্রে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিকাশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিটিশ এই সংসদ সদস্য আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার অনেক ক্ষেত্র আছে, আমরা এই সম্পর্ককে আরো উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।’
রুশনারা আলী এমপি আরো উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশে অনেক ব্রিটিশ কোম্পানি রয়েছে এবং আরো অনেক ব্রিটিশ কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা পরিচালনার আগ্রহ প্রকাশ করছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের মতো বাংলাদেশও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে অতিদ্রুত বাংলাদেশের অর্থনীতি তার স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসছে এবং সার্বিক পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।
বিদ্যমান এবং ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা করতে ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশের আরো অগ্রগতি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি রুশনারা আলী আহ্বান জানালে সালমান এফ রহমান বলেন, এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করছে। আমরা এরইমধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু করেছি। আমরা ডিজিটাল অনলাইন পরিষেবাও দিচ্ছি। পরিবেশ ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জানান, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যদূত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রবেশের অনুকূল পরিবেশের কথা বলেছেন। আমি তাকে জানিয়েছি, আন্তর্জাতিকমানের বিমানবন্দর পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য আমরা তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ করছি এবং টার্মিনালটির নির্মাণ কাজ আগামী বছরের মধ্যে শেষ হবে।
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসনও উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/জেডএস