ঈদ বাজারে বৃষ্টির প্রভাব
রমজানের ঈদ ঘিরে বাহারি ডিজাইনের পোশাকে সেজেছে রাজধানীর ফ্যাশন হাউসগুলো। ক্রেতা টানতে নিজেদের চেষ্টার কমতি রাখেনি কেউই। ঈদ কাছাকাছি আসায় প্রত্যাশা বাড়ছে বিক্রেতাদের। এর মধ্যে হঠাৎ করেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি।
বুধবার (২০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীতে কালবৈশাখীর তাণ্ডবের পর থেমে থেমে বৃষ্টিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিক্রিতে। যদিও দোকানদারদের আশা ইফতারির পর জমবে ঈদ বাজার। রাজধানীর খিলগাঁও, মৌচাক ও শান্তিনগরের বেশ কয়েকটি মার্কেটের ফ্যাশন হাউস ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
ফ্যাশন সচেতনদের মধ্যে স্বতন্ত্র অবস্থানে থাকা সেইলরের সারাদেশে রয়েছে ১৯টি শো-রুম। এর মধ্যে রাজধানীতেই ৯টি। কথা হয় খিলগাঁওয়ের সেইলরের শাখা ম্যানেজার কল্লোলের সঙ্গে।
তিনি বলেন, রমজান মাসে সাধারণত সকালে ক্রেতা কম থাকে। আজকে সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ক্রেতা সমাগম কম ছিল। বিকেলের দিকে বিক্রি কিছুটা বেড়েছে। তবে সন্ধ্যার পর বাড়বে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে লকডাউনসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধে ব্যবসার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। চলতি বছর আশা করছি বিকিকিনি জমজমাট হবে।
ফ্যাশন হাউস জেন্টেল পার্ক। রাজধানীর বেইলী রোড ও খিলগাঁওয়ে তাদের পৃথক শো-রুম রয়েছে। এর মধ্যে খিলগাঁওয়ের জেন্টেল পার্কের শো-রুম ২০২১ সালে জানুয়ারিতে উদ্বোধন হয়। ক্রেতা সমাগম ও বিক্রির সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ব্যবস্থাপক সুমন বলেন, অনেকদিন করোনায় দোকানের ব্যবসার অবস্থা ভালো ছিল না। চলতি বছর আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। ঈদের বাজার জমে উঠছে সেটা আশার কথা। আজ সকালে বৃষ্টির কারণে একটু ভাটা ছিল। তবে রাতে আশা করছি বিক্রি বাড়বে।
অধিকাংশ বিক্রেতারা বলছেন, ১৫ রমজান পার হলেও ক্রেতাসমাগম আশানুরূপ নেই। তবুও বড়দের পাশাপাশি এবার শিশুদের পোশাকের কালেকশন তুলনামূলক বেশি রেখেছেন। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, পোশাক দেখে ভালো লাগলেও দাম অনেক বেশি। আবার আগের বছরের কালেকশনগুলোই ঘুরেফিরে আসছে।
রাজধানীর শান্তিনগর টুইন টাওয়ারে ছেলেদের জন্য ঈদের কাপড় কিনেছেন ব্যবসায়ী বাকের হোসেন। তিনি বলেন, ঈদের বাজার হলেও ভিড় এখনো কম মনে হয়েছে। যদিও আজকের পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। কারণ সকালে বৃষ্টি ছিল। ছেলেদের জন্য পোশাক কিনলাম। দাম আগের তুলনায় বেশি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো পোশাক ডিজাইনের খুব বেশি পার্থক্য চোখে পড়ছে না।
আরএম/জেডএস