বিজিএমইএ নির্বাচনে স্বাধীনতা পরিষদের ৬ প্রতিশ্রুতি

তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমই’র নির্বাচনে ভোটারদের ছয় ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে স্বাধীনতা পরিষদ। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিষদের আহবায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, আমরা বিজিএমইএতে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেলে ছয় ধরনের কাজ করবো। আমার সঙ্গে সব উদ্যোক্তাই একমত হবেন, এ মুহূর্তে আমাদের অন্যতম সংকট দাম নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এর সুফল কিন্তু নিচ্ছেন ক্রেতা অর্থাৎ বায়াররা। আমরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছি না। আমরা মনে করি, বিজিএমইএ ইউডি ইস্যুর ক্ষেত্রে পণ্য উৎপাদনের খরচ বিশ্লেষণ করে ন্যূনতম সিএম’র নিশ্চয়তা বিধান করতে পারে। এ কাজটি করতে পারলে আবারেও শিল্পের বিকাশ হবে। দ্বিতীয়ত, ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের জন্য ন্যূনতম নিরাপত্তা মানদণ্ড তৈরি করব। তৃতীয়ত, শ্রম আইনের অচল ধারাগুলো সংশোধন করে যুগোপযোগী করা এবং প্রত্যেক বায়ারের জন্য ইউনিফাইড কোড অব প্র্যাকটিস তৈরি করার চেষ্টা করব। এছাড়া নতুন বাজার ধরতে বিদেশে মিশনগুলোতে আরএমজি উইং খোলা। এ উইং থেকে পণ্যের ব্র্যান্ডিং, নতুন বাজারের বায়ার সম্পর্কে পোশাক কারাখানার মালিকদের তথ্য দেওয়া এবং বায়ারের সঙ্গে কোনো মতবিরোধ হলে তার সমাধানে উদ্যোগী হবে। ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, বন্ড লাইসেন্স, পরিবেশ লাইসেন্সসহ আবশ্যক লাইসেন্সের মেয়াদ কমপক্ষে তিন বছর করা হবে। বর্তমানে এসব লাইসেন্সের নবায়ন ফি এবং বিবিধ ফির নামে একটি ছোট কারখানার মালিককে যে পরিমাণ টাকা ব্যয় করতে হয় প্রতিবছর তা দিতে না হলে সে লাভজনকভাবে কারখানা চালাতে পারবে।
লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টিকা আসার পরও সহসাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে তা কেউ বলতে পারবে না। এমন বাস্তবতায় পোশাক খাত থেকেই ২০২১ সালে ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় অর্জন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে ও আইনি সংস্কার না হলে অনেক কারখানা বন্ধের কারণ হয়ে থাকবে। এক সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মিলে প্রায় সাত হাজার পোশাক কারাখানা ছিল। এটা কমতে কমতে এখন দুই হাজারের নিচে চলে এসেছে। এর জন্য দায়ী তথাকথিত ‘কমপ্লায়েন্স’। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ির কারণে অনেক শিল্প কারখানা ধ্বংস হয়ে গেছে। বড় এবং ছোট দুধরনের কারখানার জন্য দুরকম নিরাপত্তা মানদণ্ড ঠিক করলে হয়তো কিছু শিল্প বেঁচে যেত।
স্বাধীনতা পরিষদের আহ্বায়ক বলেন, আমরা ২০১৯ সালেই শ্রমিক আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এটাও আমাদের জন্য ভালো ফল বয়ে আনতে পারত।
এমআই/এসএসএইচ