ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন শুরু সোমবার

পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করতে যাচ্ছে বীমা খাত কোম্পানি ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করায় আগামীকাল সোমবার (২১ ডিসেম্বর) থেকে কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হবে।
কোম্পানি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার ডিএসই ও সিএসইতে এন ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু হওয়া ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সে ডিএসইতে ট্রেডিং কোড হবে ‘CRYSTALINS’। এর কোম্পানি কোড ২৫৭৪৯।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৭৪১তম নিয়মিত সভায় কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ১ কোটি ৬৯ লাখ শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ১৬ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়।
উত্তোলিত অর্থের আট কোটি টাকা এফডিআর, ছয় কোটি ৯২ লাখ ৭১ হাজার ৫০০ টাকা ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগ ও এক কোটি ৭ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা আইপিও বাবদ খরচ করবে। ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ২০১৯ সালে শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে দুই দশমিক ৯২ টাকা। আর ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) রয়েছে ২৪ দশমিক ৪২ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট।
প্রথমে কোম্পানিটি আইপিওর সাবস্ক্রিপশন শুরু করে। ১০ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত সাবস্ক্রিপশনে প্রাতিষ্ঠানিক, ক্ষুদ্র, ক্ষতিগ্রস্ত এবং দেশি ও বিদেশরীরা বিনিয়োগ করেছেন। ১৬ কোটি টাকার এক কোটি ৬৯ লাখ শেয়ার পেতে বিনিয়োগকারীরা মোট ৬৬৭ কোটি ২০ লাখ টাকার আবেদন জমা দিয়েছেন। যা প্রায় ৪১ দশমিক ৭০ গুন।
কোম্পানিটি আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে গত ৩ ডিসেম্বর। লটারি বিজয়ীদের মধ্যে গত ১৫ ডিসেম্বর বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে শেয়ার জমা হয়েছে।
কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের প্রতি লট শেয়ার পেতে ৬৬৭ কোটি ২০ লাখ টাকার আবেদন জমা পড়েছে।
এর মধ্যে ৫২৫টি যোগ্য অর্থাৎ এলিজেবল ইনভেস্টর আবেদন করেছে। যা টাকার অংকে ৬৭ কোটি ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। তাদের জন্য বরাদ্দ ছিল ৬৪ লাখ শেয়ার অর্থাৎ ৬ কোটি ৪০ হাজার টাকা। নতুন প্রজন্মের এই বীমা কোম্পানির লট প্রতি শেয়ার পেতে ১০৪৮ দশমিক ৪৯২ শতাংশ আবেদন বেশি জমা পড়েছে। যা টাকার অংকে সাড়ে ১০ গুণ বেশি। আর বাকি আবেদন জমা পড়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের। তারা কোম্পানিটির প্রতি লট শেয়ার পেতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার আবেদন করেছেন।
এমআই/এসআরএস