৪ হাজার ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছে সরকার
সরকার তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামোগত উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৪ হাজার ১৭৬টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, সরকার তথ্যপ্রযুক্তির অবকাঠামোগত উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জাতীয় ডেটা সেন্টার থেকে সরকারের ৭৩১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন সার্ভিস, যেমন— মেইল ডোমেইন, ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশন হোস্টিং, ভিপিএস সার্ভিস, ক্লাউড সার্ভিস ও গুগল ড্রাইভের মতো জি-ড্রাইভ বা গভর্নমেন্ট ড্রাইভ সার্ভিস ইত্যাদি প্রদান করা হচ্ছে।
বর্তমানে এটির ডাটা সংরক্ষণ ক্ষমতা ১৪.৬ পেটাবাইট এবং ডাটা সেন্টার থেকে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা প্রায় ১০ কোটির বেশি। ইনফো-সরকার (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ৮৯৩টি ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিকাশ ও ব্যবহার বাড়াতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষা শিক্ষা ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সৌদি আরবে ১৫টিসহ মোট ৪ হাজার ১৭৬টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আরও পাঁচ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ল্যাব স্থাপনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ স্লোগান নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করা হয়েছে। নতুন এ বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে রাখার কথা বলা হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা বেশি। নতুন বাজেটে সরকারের আয়ের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হতে যাচ্ছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। আর অনুদানসহ ঘাটতি ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
আয়ের লক্ষ্যমাত্রা চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বেশি। কর বাবদ ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা আয় করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে এনবিআরকে আগের বছরের তুলনায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দিচ্ছে সরকার। এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। আর কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি। বৈদেশিক অনুদান থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৭১ কোটি টাকা।
এমএসি/এসএসএইচ