মীর আক্তারের আইপিও আবেদন শুরু বৃহস্পতিবার

মীর আক্তার হোসাইন লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদন গ্রহণ আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধিতে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করতে গত ৪ নভেম্বর পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪৭তম সভায় মীর আক্তারের আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর থেকে সাবস্ক্রিপশনের জন্য প্রতিষ্ঠানটি সব প্রস্তুতি শেষ করেছে।
আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পনি সরঞ্জামাদি ও যন্ত্রপাতি কেনাসহ ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
গত ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ৬ দশমিক ৩২ টাকা।
২০১৯ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির যথাক্রমে শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতিসহ) ৩৪.৭১ টাকা ও শেয়ার প্রতি নিট সম্পত্তি মূল্য (পুনর্মূল্যায়ন সঞ্চিতি ব্যতীত) হয়েছে ৩৩.৬৩ টাকা। মোট ৫টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কর পরবর্তী নিট মুনাফার বারিত গড় হারে শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ৬ দশমিক ২১ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।
এদিকে বুকবিল্ডিং পদ্ধতির অংশ হিসেবে যোগ্য বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করার জন্য ইতোমধ্যে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে কাট অফ প্রাইস নির্ধারিত হয় ৬০ টাকা। তবে বিধি অনুসারে, কাট অফ প্রাইস থেকে ১০ শতাংশ কম দামে তথা ৫৪ টাকা দরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব করতে হবে। এর আগের নিলাম ৪ অক্টোবর বিকেল ৫টায় শুরু হয়ে চলে ৭ অক্টোবর বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। নিলামে ২৪৫ জন যোগ্য বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার পেতে আবেদন করেন।
নিলামে কোম্পানিটির শেয়ার পেতে সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৯৮ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১৪ টাকায় বিট করেছে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ৫০ টাকা দরে। এ দরে আবেদন করেছে ২৪ জন বিনিয়োগকারী। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ জন ৬১ টাকায় দর প্রস্তাব করেছেন। টানা ৭২ ঘণ্টা নিলামে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দকরা ৬৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার বিপরীতে ২৪৫ বিডার মোট ২১০ কোটি ৬৭ লাখ টাকার দর প্রস্তাব করেন।
এবারের আইপিওতে প্রয়োজনের তুলনায় যোগ্য বিনিয়োগকারীদের ৪০৯ শতাংশ আবেদন জমা পড়ে। এ বিনিয়োগকারীরা ১ কোটি ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪৭ টাকা শেয়ার পাবেন। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি সর্বমোট সাধারণ ও যোগ্য বিনিয়োগকারীর কাছে ২ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৪৭টি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।
এমআই/এমএইচএস