দেশে ২৫ ঊর্ধ্ব ৮ কোটি মানুষ অর্থনীতিতে অবদান রাখছে

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে এ মুহূর্তে ২৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি (কম বেশি আট কোটি) যারা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এর যথাযথভাবে ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা করা গেলে দেশের উন্নয়ন দারুণভাবে ত্বরান্বিত হবে। আর সেজন্য সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জাতি গঠনের কোনো বিকল্প নেই বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার (২০ জুলাই) রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বেসরকারি এনজিও লাইট হাউসের আয়োজনে ও ইউএসএআইডি সুখী জীবন প্রকল্প, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় মিডিয়া অ্যাডভোকেসি সভায় এসব অভিমত গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
লাইট হাউসের নির্বাহী প্রধান মো. হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার, পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মনজুর হোসাইনসহ লাইট হাউজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, আগামী ১৫ নভেম্বর বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে। বিশ্বের এই বিশাল জনসংখ্যা নিয়ে অনেক ধরনের আলোচনা ও উদ্যোগের মধ্যে গত ১১ জুলাই বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়েছে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২২। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল কর্তৃক বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২২ এর নির্ধারিত প্রতিপাদ্য ‘৮০০ কোটির পৃথিবী : সকলের সুযোগ, পছন্দ ও অধিকার নিশ্চিত করে প্রাণবন্ত ভবিষ্যৎ গড়ি’।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য সেবা উন্নত করার সঙ্গে সঙ্গে সবাই যদি নিজের ও পরিবারের জন্য সঠিক তথ্য জেনে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং আকাঙ্ক্ষিত গুণগতমানসম্পন্ন ও সমতাভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা স্বাস্থ্যকেন্দ্রসমূহতে পাওয়া যায় তবেই নিশ্চিত করা সম্ভব হবে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জাতি, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে দেশে প্রতি মিনিটে চারজন শিশু জন্মগ্রহণ করছে। এ হিসেবে খুব দ্রুত দেশের জনসংখ্যা ২০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি যাই হোক না কেন প্রতিটি দেশের উচিত এখনই দৃঢ় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। সংঘাত-সংঘর্ষ, মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন, উন্নততর সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষাজনিত কারণে সৃষ্ট অভ্যন্তরীণ ও অন্তর্দেশীয় অভিবাসন জনসংখ্যা কাঠামো বিন্যাসে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। সমাজের সকল ক্ষেত্রে এসব পরিবর্তনের উল্লেখযোগ্য তাৎপর্য রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণকে দেওয়া সহায়তা নিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল এবং সহযোগী সংস্থাসমূহ। এ প্রসঙ্গে পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং ইউএসএআইডি সুখী জীবন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন, দেশের যেকোনো উন্নয়ন কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য জনকল্যাণ। আর জনকল্যাণের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো সকলের জন্য গুণগত প্রজনন স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা সুনিশ্চিত করা। জনসংখ্যা কর্মসূচির অনুষঙ্গ হিসেবে দেশের দেশের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নয়নে দেশের সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে ইউএসএআইডি সুখী জীবন প্রকল্প।
আরএম/এসকেডি