সব থেকে পছন্দের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ
ইউনিভার্সাম-এর এক স্বাধীন জরিপে সবচেয়ে পছন্দের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে শীর্ষস্থান লাভ করেছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ। দেশের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে জরিপ পরিচালনা করা এই বৈশ্বিক কনসাল্টিং প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে দুই হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিয়ে থাকে, সেগুলোর মধ্যে অনেকেই প্রসিদ্ধ ‘ফরচুন ৫০০’ তালিকার অন্তর্ভুক্ত।
সম্প্রতি প্রকাশিত এ জরিপ অনুযায়ী, ইউনিলিভার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটে ‘নাম্বার ওয়ান এমপ্লয়ার অব চয়েস’ নির্বাচিত হয়েছে। যে সব শিক্ষার্থীরা স্নাতক সম্পন্ন করেছেন অথবা শিগগিরই ডিগ্রি সম্পন্ন করে আগামী বছরের শুরুতে কর্মক্ষেত্রে যোগ দেবেন, ইউনিলিভারকে তারা স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করেন। শিক্ষার্থীরা ইউনিলিভারের শীর্ষ কনজ্যুমার ব্র্যান্ডগুলোর সাথে কাজের সুযোগ পেয়ে এবং বাংলাদেশের বাজারে অবদান রাখতে পেরে প্রতিষ্ঠানটিকে র্যাংকিং-এর শীর্ষ স্থান দিয়েছেন। কোম্পানির সৃজনশীল কাজের পরিবেশে এ সুযোগটি তাদের ক্যারিয়ারকে সামনে এগিয়ে নিতে অবদান রাখার পাশাপাশি নেতৃত্বগুণও বিকশিত করেছে।
এ নিয়ে ইউনিলিভার বাংলাদেশ সব সেক্টরে এগারো বারের মতো ‘নাম্বার ওয়ান এমপ্লয়ার অব চয়েস’ নির্বাচিত হয়েছে। এ জরিপে বিজনেস গ্র্যাজুয়েটদের উচ্ছ্বাস ও তাদের অগ্রাধিকার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইউনিলিভার শিক্ষার্থীদের শীর্ষস্থানীয় পছন্দনীয় ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানে নারী গ্র্যাজুয়েটদের অংশগ্রহণ এবং সমতা, বৈচিত্র্যতা এবং অন্তর্ভুক্তি অর্থাৎ ইডিঅ্যান্ডআই (ইকুয়িটি, ডাইভার্সিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন) ইত্যাদি বিষয়ে টেকসই অবস্থান প্রাধান্য পেয়েছে।
তরুণদের উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানকে ঘিরে ইউনিলিভারের বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইউনিলিভার বাংলাদেশের (ইউবিএল) মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক সাকসী হান্ডা বলেন, “অনেক বছর ধরে আমরা ‘লিগ অব ফিউচার লিডার্স’ হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছি। আমরা আমাদের কর্মীদের বিভিন্ন সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের ত্বরিত নেতৃত্ব উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়ে থাকি, যাতে তারা ক্ষমতায়িত হতে পারে এবং নিজেদের সাফল্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়। আমাদের সাবেক সহকর্মীরা তাদের যোগ্যতাগুণে ইতোমধ্যে দেশে ও বিদেশে নেতৃত্বস্থানীয় পদে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা আন্তরিকতার সাথে এ স্বীকৃতি গ্রহণ করছি, এ অর্জন আমরা আগামী দিনের নেতৃত্বের কাছ থেকে পাওয়া দায়িত্ব হিসেবেই বিবেচনা করছি এবং তরুণদের রোমাঞ্চকর ও অর্থবহ যেকোনো উদ্যোগে ভবিষ্যতেও আমরা পাশে থাকব।”
ইউনিলিভার বাংলাদেশ-এ নতুন গ্র্যাজুয়েটদের বিভিন্ন সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার ও কাজের সুযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত তথ্য পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা কোম্পানির অফিসিয়াল ফেসবুকে সংযুক্ত থাকতে পারবে।
ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) সম্পর্কে:
ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) বাংলাদেশের সব থেকে বড় নিত্যব্যবহার্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, যারা ৫৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশের প্রতি ১০টি পরিবারের মধ্যে ৯টি পরিবারই তাদের দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা মেটাতে উক্ত প্রতিষ্ঠানের এক বা একাধিক পণ্য ব্যবহার করে থাকে। লাক্স, লাইফবয়, সার্ফএক্সএল, ক্লোজআপ, সানসিল্ক, পন্ডস, ভ্যাসলিন, ডাভ এবং পিওরইট'সহ ২৮টিরও বেশি ব্র্যান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের প্রাত্যাহিক জীবনের অপরিহার্য গুরুত্ব বহন করে ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল)। ইউনিলিভার সারাবিশ্বে ১৯০টিরও বেশি দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আধুনিক জীবনযাত্রার মান নিশ্চিত করার মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণ করা ইউবিএল-এর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। জাতীয় উন্নয়নশীল কার্যক্রম ও পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশে ইতিবাচক সমাজ তৈরিতে প্রভাব রেখে চলেছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল)।
/এফকে/
