ভালোবাসার জালে আবদ্ধ করে করনেট বাড়াতে চায় এনবিআর

কর প্রদানের আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকলেও ভালোবাসার জালে আবদ্ধ করে করনেট বৃদ্ধি করতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বুধবার রাজধানীর বেইলী রোডের অফিসার্স ক্লাবে সেরা করদাতাদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে সেরা করদাতার সম্মাননা স্মারক ও ট্যাক্স কার্ড তুলে দেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতারা কেন কর দেবেন এমন প্রশ্নটা সব সময় করেন। আজকের অর্জন (মেট্রোরেল) দেখে প্রশ্নের জবাব পেয়ে থাকবেন করদাতারা। মেগা প্রকল্পগুলো চোখের সামনে দৃশ্যমান।
তিনি বলেন, এনবিআর মনে করে, কর প্রদানের আইনগত বাধ্যবাধকতার মাধ্যমে বাধ্য করা যাবে না। কর প্রদানে করদাতাদের স্বেচ্ছায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। ভালোবাসার জালের মাধ্যমে কর প্রদানে উৎসাহী করতে হবে। এজন্য এনবিআর কর প্রদানে স্বচ্ছতা আনতে কাজ করছে। যেন আরও সহজে কর প্রদান করা সম্ভব হয়।
রহমাতুল মুনিম বলেন, আমরা চাই ভালোবাসার জালে আবদ্ধ করে নেট বৃদ্ধি করতে। সেকেন্ডারি ডাটাবেজের মাধ্যমে সবার বিস্তারিত তথ্য আমরা নেওয়ার চেষ্টা করছি। ওই তথ্যের ভিত্তিতে অডিটে করব। আমরা বাড়ি ও গাড়ির মালিকদের ডাটাবেজ নিচ্ছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছর রাজস্ব খাতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে একের পর এক উপহার দিচ্ছেন। আপনাদের করের টাকা দিয়ে আমাদের এ মহা-অর্জন। ২০৪১ সালে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো। ট্যাক্স দেওয়া শুধু দায়িত্ব নয় ভালো কাজ এটা ভেবে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করব।
২০২১-২২ কর বছরে ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে ৭৬টি ও কোম্পানি ক্যাটাগরিতে ৫৩টি ও অন্যান্য ক্যাটাগরিতে মোট ১৪১ সেরা করদাতাদের সম্মাননা ও পুরস্কার দেওয়া হয় আজ।
আরএম/এসকেডি