অচিরেই মূলধন ঘাটতি কমে যাবে : সোনালী ব্যাংক

২০২২ সাল শেষে রেকর্ড দুই হাজার ৫০৩ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক। ২০২১ সাল শেষে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ২১০০ কোটি টাকা। এ বছর ব্যাংকটির আমানত ও ঋণের আনুপাতিক হার ৬০ শতাংশ, যা গত বছরের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি। বর্তমানে মোট ঋণের পরিমাণ ৮৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এছাড়া মুনাফা বাড়ায় অচিরেই মূলধন ঘাটতি কমে আসবে।
রোববার (১ জানুয়ারি) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে সোনালী ব্যাংকের বিগত বছরের অর্জন সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এসময় সোনালী ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আফজাল করিম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার ভেতরেও সোনালী ব্যাংক বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি সাধন করেছে। দেশের ব্যাংকিং খাত এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করি অচিরেই শ্রেণিকৃত ঋণ আরও কমে আসবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মো. আফজাল করিম বলেন, লভ্যাংশ বাড়ায় অচিরেই আমাদের মূলধন ঘাটতি কমে আসবে। এজন্য আমরা পারফর্মিং লোন আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
বর্তমানে ব্যাংকটিতে মোট ডিপোজিট রয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার হাজার কোটি টাকা, যা গত বছরের চেয়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বেশি ডিপোজিট এখন সোনালী ব্যাংকে। এই বিপুল ডিপোজিটকে ব্যবহার করতে পারলে আগামী দিনে সব সূচকে ব্যাংকটি ভালো করবে বলে মনে করেন ব্যাংকের সিইও এন্ড এমডি আফজাল করিম।
তিনি যোগ করেন, নেট ইন্টারেস্ট মার্জিন পজিটিভ হয়েছে। আমাদের সব লোন পারফর্ম করেছে। ইন্টারেস্ট ইনকাম বেশি হয়েছে। নেট ইন্টারেস্ট মোট ৩ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা। এটা গত বছরের চেয়ে ১১২২ কোটি টাকা বেশি।
আফজাল করিম বলেন, গত বছর সিএমএসএমই লোনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে সোনালী ব্যাংক। বড় অঙ্কের লোন তেমন দেওয়া হয়নি। মূলত সিএমএসএমই ও এনজিও লিংকেজের মতো লোন থেকে ১৫ হাজার কোটি লোন বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালে খাদ্য, সার ও পেট্রোলিয়াম নিয়ে ৪১ হাজার কোটি টাকার এলসি করেছে সোনালী ব্যাংক। এলসি থেকে ব্যাংকের কোনো ক্ষতি হয়নি। মূলত সরকারি এলসিগুলো নামমাত্র কমিশন মূল্যে খোলা হয়েছে যা এলসি থেকে আয় খুব কম। যা ১০০ টাকায় কখনো ৪০ বা ৮০ পয়সার মতো। রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে সোনালী ব্যাংকের কোনো এলসি পেন্ডিং নেই। সোনালী ব্যাংকের দেশের অভ্যন্তরে মোট ১২২৯টি শাখা রয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরে ভারতের কলকাতা ও শিলিগুড়িতে দুটি শাখা রয়েছে।
এসআই/কেএ