টাকার সঙ্গে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে শাহজালাল ব্যাংক

শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি শেয়ারে ৭ শতাংশ নগদ টাকার সঙ্গে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানির তথ্য মতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সালে ব্যাংক খাতের কোম্পানিটির কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৯১ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার ৫৫ টাকা। সেই টাকার মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের ১১৭ কোটি ৬১ লাখ ১০ হজার ৮০৩ টাকার মুনাফা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সচিব আবুল বাসার ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনার বছরেও আমাদের ব্যাংকের ভালো মুনাফা হয়েছে।
বুধবার (১০ মার্চ) কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৭ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ নির্ধারণ করেছে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, এখন কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৯৮ কোটি ৯২ হাজার ৩৩৬টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে কোম্পানির ৪৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে দশমিক ১৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৩৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার।
কোম্পানির তথ্য মতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০০২ বছরে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯৫ পয়সা। যা গত বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকার ৭০ পয়সা। তাতে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিস) ছিল ১৮ টাকা ৩৩ পয়সা।
কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিতে লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল ১১টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ এপ্রিল।
২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ার বুধবার সর্বশেষ লেনদেনে হয়েছে ২১ টাকা ২০ পয়সা দরে।
এছাড়া বুধবার অনুষ্ঠিত কোম্পানির বোর্ড সভায় কোম্পানি ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করবে কোম্পানিটি। প্রতিষ্ঠান দুটি অনুমোদন দিলেই অর্থ উত্তোলন করতে পারবে শাহজালাল ব্যাংক।
এমআই/এসএসএইচ