বিএমবিএ ও ডিবিএর সঙ্গে বৈঠকে বসবে বিএসইসি

পুঁজিবাজারে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সঙ্গে বৈঠক করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আগামীকাল বুধবার (৪জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) বিএসইসির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান, অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ড, এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটি রুটিন মাফিক কমিশনের সঙ্গে মার্কেট ইন্টারমিডিয়ারিদের সঙ্গে বৈঠক। বৈঠকে বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিসহ বেশি কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটোরিয়ামে ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন বিএমবিএ সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে পুঁজিবাজারে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। বাজার যখন বেশি খারাপ হয়, তখনই ভালো হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়। আপনারা সাক্ষী আছেন ২০২০ সালের প্রথম দিকে বাজারের যে করুণ অবস্থা হয়েছিল এবং ফ্লোরপ্রাইস দেওয়া হয়েছিল, তখন কি কেউ ভেবেছিল ২০২০ সালের ক্লোজিং এতো ভালো হবে।
তিনি বলেন, ২০২০ ও ২০২১ সালে পুঁজিবাজার কিন্তু যথেষ্ট ভালো অবস্থানে ছিল। আজ আমরা যে অবস্থায় আছি, সেটা নিয়ে হতাশ না হয়ে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে এবং গঠনমূলক চিন্তা করা উচিত।
ছায়েদুর রহমান বলেন, আমাদের বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি। অথবা বোঝাপড়ার ঘাটতি থাকে। অথবা কারো মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে তিনি বিনিয়োগ করেন। তখনই বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হন।
বেশ কিছুদিন ধরে পুঁজিবাজারে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের নেতিবাচক প্রবণতার ক্ষেত্রে পলিসিগত দিক থেকে কিছুটা সমস্যা আছে বলে আমরা মনে করি। সেই পলিসিগত বিষয়গুলো যতক্ষণ অ্যাড্রেস না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সুশৃঙ্খল বা শক্তিশালী পুঁজিবাজার দেখব, সেই প্রত্যাশা করতে পারি না। পলিসি লেভেলেও কাজ করার আছে। আমার জানা মতে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
ডিবিএর সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, আপনারা সবাই জানেন আমাদের পুঁজিবাজারে খুবই ক্রান্তিকাল যাচ্ছে। এ সময় আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। সামনের ভালো একটা দিনের প্রত্যাশায় থাকতে হবে। সেই সঙ্গে নিজের যে বিনিয়োগ আছে, সে বিষয়ে খুব বেশি পরিমাণে মনোযোগী হতে হবে। যে কোম্পানিগুলো আমরা নির্বাচন করব, সেটি হতে হবে ভালো। যদিও এখন বিনিয়োগ আটকে আছে, তারপরও একটু ভালো সময় এলে যাতে আমরা রিকভারি করতে পারি সেই চিন্তা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারে ৮০ শতাংশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। আপনারা জানেন, পুঁজিবাজার খুবই সেনসিটিভ জায়গা। এখানে অনেক কিছু শেখার আছে। এ ধরনের এক্সপোতে বাজারের ভালো-খারাপ, সম্ভাবনা, সামনের দিনগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। ব্রোকারেজ হাউস থেকে শুরু করে যারা এখানে আসেন, তারা উপকৃত হন।
এমআই/এসকেডি