এমারেল্ড অয়েলকে মূল্যসংবেদনশীল তথ্য না দেওয়ায় চিঠি

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মূল্যসংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) না দেওয়ায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে তলব করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। নিয়ম অনুসারে কোম্পানির মূল্যসংবেদনশীল তথ্য বোর্ড সভায় অনুমোদন হওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জকে অবহিত করতে হয়। কিন্তু সেই আইনের ব্যতয় করেছে কোম্পানটি। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, এমারেল্ড অয়েলের সর্বশেষ বোর্ড সভা গত বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গত ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যলোাচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নো ডিভেডেন্ড ঘোষণা করা হয়। নিয়ম অনুসারে পর্ষদ বা বোর্ড সভায় গৃহীত সংবেদনশীল তথ্য ২ ঘণ্টার মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জ এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অবহিত করবে। এরপর গণমাধ্যমে প্রকাশ করবে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত স্টক এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টারও পর। যা আইনের সম্পূর্ণ লঙ্গন। কেন আইনের লঙ্গন হয়েছে তার কারণ জানতে চেয়ে কোম্পানির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত বছর পুনরায় উৎপাদন শুরু করেছে এমারেল্ড অয়েল। প্রতিষ্ঠানটির ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৬ থেকে ২০১৮ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ১৪ পয়সা। এর আগের অর্থ বছরের একই সময়ে এ লোকসান ছিল ১ টাকা ৯৭ পয়সা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ৮৩ পয়সা বা ৪২ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট দায় দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৫৭ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে এ দায় ছিল ১৯ টাকা ৪৩ পয়সায়। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরের জন্য কোনও লভ্যাংশের সুপারিশ করেনি কোম্পানিটির পর্ষদ।
এমআই/এসএম