৫ কোটি টাকা লভ্যাংশ দেবে এশিয়া ইন্স্যুরেন্স

শেয়ারহোল্ডারদের ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে শেয়ারহোল্ডাররা ১ টাকা ১০ পয়সা করে মোট ৫ কোটি ১৭ লাখ ৭৬ হাজার ৮৪৩ টাকা লভ্যাংশ বাবদ পাবেন।
সোমবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর তথ্যমতে, বিমা খাতের এ কোম্পানিটি ২০২২ সালে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ২ টাকা ৯ পয়সা। সেখান থেকে শেয়ারধারীদের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাকি অর্থ কোম্পানির অন্যান্য খাতে ব্যয় হবে।
এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের একইসময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ২৯ পয়সা। সেই বছরও শেয়ার প্রতি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।
অর্থাৎ ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বিমা কোম্পানির মুনাফা ও লভ্যাংশের পরিমাণ দুইটাই কমেছে। কোম্পানির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৭০ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫৮টি।
ঘোষিত লভ্যাংশ এ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ জুলাই। ওইদিন সকাল-দুপুর ১২টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রতিষ্ঠানটির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৮ মে।
বিদায়ী বছরে বিমা কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৬ টাকা ৮৮ পয়সা। যা এর আগের বছরের একইসময়ে ছিল ২৬ টাকা ৫৭ পয়সা।
২০০৯ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ার আজ সোমবার দিনের শুরুতে লেনদেন হয়েছে ৪৮ টাকা ৯০ পয়সায়। লভ্যাংশ ঘোষণার কারণে আজ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকবে না। এর অর্থ দাঁড়ায় শেয়ারের দাম যত খুশি বাড়তে পারবে। তবে ফ্লোর প্রাইসের নিচে শেয়ারের দাম নামতে পারবে না।
এমআই/এফকে