আদার দামে অস্বস্তি

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৬ মে ২০২৩, ০২:২৬ পিএম


আদার দামে অস্বস্তি

এক মাস আগেও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। সেটি এখন বাজারে ক্রেতাপর্যায়ে প্রতি কেজি ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের পর এখন আবার বেড়েছে আদার দাম। ক্রেতাপর্যায়ে মানভেদে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়। 

এছাড়া দেশি রসুন (ছোট) প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন (বড়) প্রতি ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে দাম নিয়ে ক্রেতাপর্যায়ে অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে।

dhakapost

শুক্রবার (২৬ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, সাধারণ মানের আদা ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা বিক্রি হলেও চায়না আদা আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছে, বাজারে দেশি আদা থাকলেও আমদানি করা আদার সরবরাহ কম। তাই বাড়তি দাম। এই দাম আরও বেড়েছিল।

কারওয়ান বাজার থেকে পাইকারিতে আদা কিনে এনে খুচরা বিক্রি করেন হাবিবুর রহমান নামের একজন ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, আমাদের দেশে আমদানি করা আদার প্রায় অর্ধেক আনা হয় চীনা আদা আর বাকি আদা বার্মিজ, ইন্দোনিশায়া, ভিয়েতনামসহ অন্যান্য দেশ থেকে। কিছুদিন ধরে বাজারে চীনা আদা আসছে না তাই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে এবার দেশি আদার উৎপাদনও কম হয়েছে সব কিছু মিলিয়ে আদার দাম বাড়তি যাচ্ছে। তবে ঈদের আগে আর আদার দাম কমার সম্ভাবনা নেই।

আরও পড়ুন : সবজির দাম কমার নাম নেই 

রাজধানীর মহাখালী বাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সরোয়ার আলম বলেন, যেহেতু চাকরি করি তাই শুক্রবার ছুটির দিনে একবারে সপ্তাহের বাজার করে নিই। বাজারে সব কিছুর দাম বাড়তি যা সাধারণ মানুষের জন্য খুবই অস্বস্তির। সেই সঙ্গে আজ আদার দাম দেখলাম আরও বাড়তি,  এগুলো কি মনিটরিং করার কেউ নেই? ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায় প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে যা সাধারণ ক্রেতাদের আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে। বাজারে এমন কিছু নেই যার দাম বাড়তি যাচ্ছে না।

এদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, কিছুদিন আগেও আমদানি করা আদা বিক্রি হয়েছে ২৫০ টাকায়। আর এক মাস আগে এই আদা বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। সেই সঙ্গে গত বছরের এই সময় আদা বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। 

dhakapost

অন্যদিকে খুরচা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছে, গত মার্চ থেকে ভারত ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল ফলে দাম বেড়েছে। মূলত উৎপাদন মৌসুমে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত মাস পর্যন্ত দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এক মাসে লাফিয়ে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। আমদানি করা পেঁয়াজ তৃণমূল বাজারে পৌঁছে গেলে এরপর পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করবে।

অন্যদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে ২ লাখ ৪১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করার পর উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টন। প্রতিকূল আবহাওয়াসহ নানা কারণে প্রায় ৩৫ শতাংশের মতো পেঁয়াজ নষ্ট হলেও বর্তমানে মজুত আছে প্রায় ১৮ লাখ টন। সে হিসাবে পেঁয়াজের সংকট হওয়ার কথা নয় তবুও এক মাসের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুন হয়ে প্রতি কেজির দাম ৮০ টাকায় গিয়ে ঠেকে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকায় এক সপ্তাহ আগে এর দাম ছিল ৮০ টাকা। এক মাসে আগে এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়। ফলে এক মাসে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৮১.২৫ শতাংশ।

এএসএস/এমএ

Link copied