রোজার আগেই বাড়ল দুধের দাম

বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা-ময়দা, মাছ-মাংস, মুরগি, সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য। এর মধ্যে রোজার আগে হঠাৎ করে প্যাকেটজাত তরল দুধের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পাঁচ টাকা বেড়ে এখন এক লিটার প্যাকেটজাত তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।
রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মিল্ক ভিটার প্রতি লিটার প্যাকেটজাত তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়, যেটি আগে ছিল ৭০ টাকা। আবার আধা লিটারে আলাদাভাবে বাড়ানো হয়েছে পাঁচ টাকা। আগে ৩৫ টাকা থাকলেও এখন প্যাকেটের গায়েই ৪০ টাকা লেখা হয়েছে। প্রাণ, আড়ং, ফার্মফ্রেশসহ অন্যান্য কোম্পানির প্যাকেটজাত তরল দুধের লিটার ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আগে ৬৪ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হতো। ২৫০ মিলিলিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তরল দুধের দাম বাড়িয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে বাড়তি দামে প্যাকেটজাত দুধ বিক্রি করতে হচ্ছে।
রোজার আগে হঠাৎ দাম বাড়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তরল দুধ প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘গো-খাদ্যসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় দুধ উৎপাদনে কৃষকের খরচ এখন বেড়েছে। ফলে কৃষক পর্যায়ে বেশি দামে তরল দুধ কিনতে হচ্ছে। যার কারণে প্যাকেটজাত তরল দুধ প্রক্রিয়া করতেও খরচ বেশি লাগছে। সার্বিক বিবেচনায় দাম সামান্য বাড়ানো হয়েছে। তবে রমজানকে কেন্দ্র করে নয়, খরচ বাড়ায় দাম বাড়ানো হয়েছে।’
কাইয়ুম নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘রোজা এলেই সরবরাহ কম বলে প্যাকেটজাত তরল দুধের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়। এবারও তাই হলো। আগে প্রতি লিটার ৬৫ টাকা দিয়ে নিতাম। এখন ৭০ টাকা দাম নিচ্ছে। কারণ ছাড়াই দাম বাড়িয়েছে। চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, তারা বসে থাকবে কেন? এছাড়া দাম বাড়ালে তো কারও কাছে জবাবদিহিতা করতে হয় না! সমস্যা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের। চড়া দামের পণ্য কিনতে হচ্ছে।’
এসআই/এফআর/জেএস