বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে সৌদিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠক

অর্থনৈতিক কূটনীতি, রপ্তানি বাজার বহুমুখীকরণ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তারের নেতৃত্বে সৌদিতে যায় বাণিজ্য প্রতিনিধিদলটি। এতে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি পাওয়ার ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার খাতের অন্যতম শিল্প উদ্যোক্তা ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
আগামী বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) পর্যন্ত সৌদি আরবে অবস্থান করবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ৬১ সদস্যের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলে রয়েছেন কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পর্যটন, আবাসন, নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা, দক্ষতা উন্নয়ন ও শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, লজিস্টিক এবং টেক্সটাইলসহ উৎপাদনমুখী খাতের ব্যবসায়ীরা।
এরই মধ্যে রিয়াদ চেম্বার, মক্কা চেম্বার ও মদিনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মতো খ্যাতনামা বাণিজ্য সংগঠনগুলোর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সভা করেছে ঢাকা চেম্বারের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলটি। এছাড়া, সেখানকার বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গেও বিজনেস ম্যাচ মেকিং (বিটুবি) সেশনেও অংশ নিয়েছেন তারা।
এই সফর দুই দেশের সম্ভাবনাময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন নতুন দ্বার উন্মোচনের পাশাপাশি ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসায়িক স্বার্থ-সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে ডিসিসিআই।
বাংলাদেশ এবং সৌদি আরবের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও কূটনৈতিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গত পাঁচ দশকে নতুন উচ্চতায় স্থান পেয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারণের ফলশ্রুতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২ বিলিয়ন ডলার, যা সামনের দিনগুলোতে আরও বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সৌদি ভিশন ২০৩০’-এর মাধ্যমে দেশটির বাণিজ্য ও বিনিয়োগে ব্যাপক পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সৌদি সরকার। ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উত্তোরণের পথে রয়েছে বাংলাদেশ। এমন বাস্তবতায় দুই দেশের নির্ধারিত অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ তৈরি হবে।
এতে আরও বলা হয়, ঢাকা চেম্বার বিশ্বাস করে, এফএমসিজি, ভারী যন্ত্রপাতি, অটোমোবাইল, স্মার্ট ফার্মিং, হালাল পণ্য, ফিনটেক টেকনোলোজি, লজিস্টিক ও অবকাঠামো প্রভৃতি খাতে উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব।
এসআই/কেএ