রপ্তানি আয়ে বড় ধাক্কা

চলতি বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশের তৈরি পণ্য বিশ্ববাজারে রপ্তানি কমেছে। আগের বছরের তুলনায় রপ্তানি আয় কমেছে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ইপিবির তথ্য মতে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্য রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৭৬ কোটি ২০ লাখ ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৯ কোটি ৪৬ লাখ ডলার বা ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ কম।
এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলার সমপরিমাণ। শুধু গতবছরের তুলনায় কমেনি বরং অক্টোবর মাসে রপ্তানি আয়ে সরকারের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তাও পূরণ হয়নি। উল্লেখিত মাসে সরকারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২৫ কোটি ১০ লাখ ডলারের পণ্যের। সেই হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ কম রপ্তানি হয়েছে। ফলে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৩- ২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস ভালো ইতিবাচক থাকার পর চতুর্থ মাসে রপ্তানি আয় নেতিবাচক ধারায় ফিরল।
আরও পড়ুন
চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে অক্টোবরে মোট ১ হাজার ৭৪৪ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। তাতে প্রথম চার মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ। তবে প্রথম তিন মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত রপ্তানি প্রবৃদ্ধির এ হার ছিল ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রতি মাসেই রপ্তানি আয় হয়েছে ৪০০ কোটির বেশি। এর মধ্যে আগস্টে এসেছিল সবচেয়ে বেশি ৪৭৮ কোটি ডলার। জুলাইয়ে যা ছিল ৪৫৯ কোটি এবং সেপ্টেম্বরে ৪৩১ কোটি ডলার।
২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ৬২ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকেও অক্টোবরের রপ্তানি আয় কমেছে। এ বিষয়ের তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিশ্বব্যাপী মন্দার কারণে পোশাক রপ্তানি কমেছে। এটি আমরা আগেই আশঙ্কা করেছিলাম। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কমার পাশাপাশি বিদেশের অর্থনৈতিক মন্দা কাটলে পোশাক রপ্তানি আরও বাড়বে।
এমআই/এসকেডি