বাজারে বৈশাখী ইলিশ, ঘাটতি শুধু ক্রেতার

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১২ এপ্রিল ২০২১, ০৭:৪১ পিএম


বাজারে বৈশাখী ইলিশ, ঘাটতি শুধু ক্রেতার

একদিন পরই বাঙালির চিরচেনা পহেলা বৈশাখ। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যেন বৈশাখী উৎসবকে লকডাউন করেছে। পহেলা বৈশাখ এলেও প্রভাব নেই ইলিশের বাজারে।

একদিকে বিধিনিষেধের ঘোষণা, অন্যদিকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। এ দুটোর প্রভাব পড়েছে ইলিশের বাজারে। যার কারণে কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা পাচ্ছেন না বিক্রেতারা, প্রভাব পড়েছে দামেও। সব মিলিয়ে হতাশ ইলিশ বিক্রেতারা। এবার নেই আগের সে দৃশ্য, তাই তো বৈশাখী ইলিশের অতিরিক্ত দাম হাঁকছেন না তারা।

সোমবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বিক্রেতাদের কাছে প্রচুর ইলিশ থাকলেও বাজারে বৈশাখী আমেজের ঘাটতি রয়েছে।

dhakapost

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও রেলগেট কিংবা রামপুরা, সব বাজারেই একই চিত্র। সাধারণ ক্রেতাদের উপস্থিতি আছে আগের মতো। তবে ইলিশ কেনার বাড়তি আগ্রহ তেমন নেই।

ইলিশের দাম নিয়ে মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন তারা। এক কেজির নিচে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকায়। আর জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়।

রামপুরা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া বলেন, বাজারে অন্যান্য মাছের মতো ইলিশও বিক্রি করছি। এবার বৈশাখে পুরোই ধরা। ইলিশ মাছ পর্যাপ্ত থাকলেও ক্রেতাদের আগ্রহ স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে একটু কম। আগের মতো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে না। বরং গত বৈশাখের তুলনায় বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে।

dhakapost

খিলগাঁও বাজারে কথা হয় রহিম নামের এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘লকডাউনের’ আগে বাজারে এসেছি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে। বৈশাখ উপলক্ষে আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই। আগে বাঁচতে হবে, উৎসবের সময় এখন না। তবে দাম কম হলে ইলিশ কিনতে পারি। কিনতেই হবে এমন তো নয়।

মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, মানুষ এখন যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু কিনছে। যার প্রভাব বাজারে পড়েছে। এ কারণে ইলিশ বিক্রি করে এবার অতিরিক্ত লাভের আশা ছেড়ে দিয়েছেন তারা।

আরএম/এসএসএইচ

Link copied