করোনায় বদলে গেছে ইফতার মেনু

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

১৭ এপ্রিল ২০২১, ০৬:০১ পিএম


করোনায় বদলে গেছে ইফতার মেনু

ফলের দোকানে ক্রেতা বেড়েছে

ইফতার মানেই পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ছোলা-মুড়ি অর্থাৎ ভাজাপোড়া খাবার। তবে করোনার কারণে ইফতার মেনুতে পরিবর্তন এসেছে। রোজাদাররা এখন ভাজাপোড়ার বদলে পানীয় এবং ফলের দিকে ঝুঁকছেন। 

ভাজাপোড়ার পরিবর্তে রোজাদাররা পছন্দের তালিকায় খেজুর, বেল, তরমুজ, আনারস, কলা ও বাঙ্গিসহ বিভিন্ন ফল রাখছেন। ফলে রাস্তা-ঘাট কিংবা শহরের অলিগলিতে বিক্রি হওয়া ভাজাপোড়ার দোকানগুলোতে বিক্রি কমেছে। দোকানের পরিমাণও কমেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, খাবারের দোকানগুলোর বেশিরভাগই বন্ধ। একেকটি এলাকায় হাতে গোনা কয়েকটি দোকানের সামনে পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, পাকুরা, নিমকি, চিকেন, নানা ধরনের জিলাপি সাজানো রয়েছে। কিন্তু ক্রেতার দেখা মিলছে না। দোকানের কর্মচারীরা ক্রেতা দেখলেই ডাকাডাকি করছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, লকডাউনের কারণে রোজাদাররা এখন বাসায় ইফতার করছেন। ফলে বিক্রি কমেছে। তারা বলেন, করোনার কারণে অনেকে ভাজাপোড়া খাচ্ছে না। তারা ইফতার করছেন ফল দিয়ে। একই সুরে রোজাদাররা বলেন, সারাদিন রোজা শেষে স্বাস্থ্যকর খাবার সবার জরুরি। পাশাপাশি করোনায় কারণে লেবুর শরবত খাচ্ছি। করোনার ভয়ে বাইরে খাচ্ছি না।

dhakapost
ভাজাপোড়ার দোকানে ক্রেতা কমেছে

রাজধানীর মধ্যবাড্ডা এলাকার রস সুইটস অ্যান্ড বেকারির কর্মচারী মোজাম্মেল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ছোলা, মুড়ি, ডাল বড়া, সবজি বড়া, হালিম, বিভিন্ন ধরনের কাবাব, জিলাপি রয়েছে দোকানে। কিন্তু এখন বেচা-কেনা কম।

রামপুরা আবুল হোটেলের মালিকের ছেলে রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবারের রমজানে ভাজাপোড়া বিক্রি নেই বলেই চলে। এ বছর গত বছরের চেয়েও আমাদের কেনাবেচা অর্ধেক কমেছে। 

রামপুরার ফল ব্যবসায়ী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবার রমজানে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ফল। রোজায়, আনার, আনারস, কলা, ডালিম বিক্রি হচ্ছে অনেক।

বাড্ডার তরমুজ ব্যবসায়ী মেসবাহ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোজায় তরমুজ বিক্রি বেড়েছে। ফলে ২৫ টাকা কেজির তরমুজ বিক্রি হচ্ছে এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে।

কলা ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন বলেন, রোজায় কলার চাহিদা বেড়েছে। ফলে রমজানের শুরু থেকেই কলার দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। জাতভেদে বেড়েছে কলার দাম।

বাঙ্গি বিক্রেতা নূর আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইফতারে এখন দেশি ও চীনাবাঙ্গি জনপ্রিয় হচ্ছে। দেশি বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর চীনা বাঙ্গি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

এমআই/আরএইচ

Link copied