‘ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে সময়োচিত সংস্কার অত্যাবশ্যক’

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ পরবর্তী সময়ের জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তুতকরণের লক্ষ্যে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সময়মাফিক সংস্কার এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
বুধবার (৩১ই জানুয়ারি) আগারগাঁও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ কর্মশালার আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এর সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্রাজুয়েশন প্রকল্প।
তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, তৈরি পোশাক খাতে ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে বিদ্যমান মানবসম্পদের ঘাটতি পূরণ করার জন্য পোশাক রপ্তানিকারকদের দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে আরও বেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ বা এলডিসি গ্রাজুয়েশন প্রক্রিয়াকে মসৃণ ও টেকসই করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে উত্তরণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির দিকনির্দেশনায় এবং ইআরডি-এর এসএসজিপি প্রকল্পের সহযোগিতায় উত্তরণের সম্ভাব্য প্রভাব পর্যালোচনা এবং তদনুযায়ী সংশ্লিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন খাতভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে এসএসজিপি প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) এর সহযোগিতায় মার্কেট এক্সেস, কম্পারেটিভ অ্যাডভান্টেজ অ্যান্ড এক্সপোর্ট ডাইর্ভাসিফিকেশন শীর্ষক একটি এবং রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড)-এর সহযোগিতায় স্ট্যাডি অন আপস্কেলিং দ্য আরএমজি সেক্টর শীর্ষক আরেকটি গবেষণা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
কর্মশালায় তৈরি পোশাক পণ্যের মধ্যেই বহুমুখীকরণের অনেক সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে মুখ্য সচিব পোশাক শিল্পের মালিকদের এক্ষেত্রে আরও অধিকতর মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পে ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেসরকারি খাতকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, যে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ পরবর্তী সময়ের জন্য রপ্তানিকারকদের প্রস্তুত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে নগদ ভর্তুকি সুবিধার বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশান (বিটিএমইএ)-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ফাইবার বা তন্তু আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারকরা মাল্টি ফাইবারসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাকের বাজারে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারবেন।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইআরডি-এর অতিরিক্ত সচিব ও এসএসজিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আজিজ। কর্মশালায় উল্লিখিত গবেষণাকর্ম দুটির প্রধান প্রধান দিকগুলোতে আলোকপাত করেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড)-এর চেয়ারম্যান এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)-এর রিসার্চ ডিরেক্টর ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
আরও বক্তব্য রাখেন ইআরডি-এর প্রাক্তন সচিব ও এসএসজিপি প্রকল্পের প্রকল্প উপদেষ্টা মিজ শরিফা খান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ.এইচ,এম, আহসান; শুল্ক রেয়াত ও প্রত্যর্পণ পরিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বেলাল হোসাইন চৌধুরী; এবং বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব।
এমএইচএন/এসকেডি