নতুন বছরে সুদিনে ফেরার আশা এশিয়ার শেয়ারবাজারের

করোনাভাইরাস নিয়েই শেষ হলো ২০২০ সাল। যার কারণে অনেকটা কচ্ছপ গতিতেই এগিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। প্রভাব পড়েছিলো বিশ্ব শেয়ারবাজারেরও। তবে বছর শেষে খুশির সংবাদ হলো শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন প্রয়োগ। তাই সবার আশা ২০২১ হবে করোনামুক্ত চাঙা অর্থনীতির বছর।
বছর শেষে দেখা গেছে, অর্থনীতি মন্দা থাকলেও বিশ্বের অনেক দেশের শেয়ারবাজার আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মহাদেশ ইউরোপ টানা ষষ্ঠ মৌসুমের মতো বাজারে ইতিবাচকতা ধরে রাখার আশা করছে। এশিয়ায় শেয়ারের দাম বৃদ্ধি শেয়ার বাজারের ঘুরে দাঁড়াবার আশার আলো দেখাচ্ছে।
পুঁজিবাজারের বৈশ্বিক সূচক এমএসসিআইয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাপানসহ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শেয়ারের দাম রেকর্ড ১.২ শতাংশ বেড়েছে। দাম বৃদ্ধিতে সবচেয়ে এগিয়ে আছে চীন। বছর শেষে চীনের বাজারে ১৮.৯ শতাংশ দাম বৃদ্ধিও পেয়েছিল তাদের শেয়ার। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) জাপানের নিকেই-এর শেয়ারের দাম ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ শতকরা ১৬ ভাগ বেড়েছিল। যদিও বছরের শেষ লেনদেনে তা আবার ০.৪৫ ভাগ কমেছে।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, করোনার কারণে মানুষ অনলাইন কেনাকাটার উপর বেশি নির্ভর হয়ে গেছে। তাই নতুন বছরে অর্থনীতিকে চাঙা করতে হলে অনলাইন কেনাকাটায় নির্ভরতা কমিয়ে আগের মত বাজারে জাওয়া জরুরি।
লিব্রা ইনভেস্টমেন্টের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার ইয়াসুয়ো সুকুমা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘এ বছর ১০ বিলিয়নের চেয়েও বেশি দামের অনেক কোম্পানিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের কেউ যদি মনে করে শুধু ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ব্যবসা করেই টাকা কামাতে পারবেন, তাহলে এটা ভুল। তাদের এ বিভ্রান্তি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। শুধু চমৎকার ব্যবসার আইডিয়া বা চমৎকার কিছু টেস্ট-প্রোডাক্ট দিয়েই সফল হতে গেলে অচিরেই এসব প্রতিষ্ঠান হয়ত দেখবে, তারা আর কাউকে আকৃষ্ট করতে পারছে না।’
এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের স্ট্রিট গ্লোবাল অ্যাডভাইজরের ফিক্সড-ইনকাম বিজনেসের প্রধান হিরোশি ইয়োকোতানি বলেন, ‘আমরা আর্থিক এবং আর্থিক নীতিমালায় বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকির ব্যাপারও থাকে। নতুন বছর করপোরেট বন্ড সরকারি বন্ডকে পেছনে ফেলবে।’
সূত্র-রয়টার্স
এমএইচএস
