দাম বাড়বে ইঞ্জিন অয়েলের

দেশে হাইব্রিড গাড়ি ও আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজেটে সিনথেটিক লুব্রিকেটিং ওয়েল বা ইঞ্জিল অয়েলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আরও পড়ুন
প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে দেশে হাইব্রিড গাড়ি এবং আধুনিক প্রযুক্তির মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচুর পরিমাণে সিনথেটিক লুব্রিকেটিং ওয়েলের ব্যবহার বাড়ছে। এ রূপ ওয়েলের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও শুল্কায়ন পর্যায়ে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারিত না থাকায় মূল্য নির্ধারণে জটিলতা দেখা যায়। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিনথেটিক লুব্রিকেটিং ওয়েলের ন্যূনতম মূল্য প্রতি টন ৫ হাজার মার্কিন ডলার নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।
বিগত এক বছরের আমদানি তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিভিন্ন কাস্টম হাউসে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য যেমন- বেজ ওয়েল, মিনারেল লুব ওয়েল, ফার্নেস ওয়েল ইত্যাদির ঘোষিত মূল্য ন্যূনতম মূল্য অপেক্ষা অনেক বেশি। এ অবস্থায়, আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে এসব পণ্যের আমদানি মূল্য পুনঃনির্ধারণ করা যেতে পারে। যেমন- ফার্নেস ওয়েলের ন্যূনতম মূল্য প্রতি টন ৪৮০ মার্কিন ডলার, বেজ ওয়েলের ন্যূনতম মূল্য ১২০০ মার্কিন ডলারর এবং মিনারেল লুব ওয়েলের ন্যূনতম মূল্য ৩০০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।
উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অঙ্কের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। যদিও গত ১৪ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপরে রয়েছে। আগামী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ঠিক করেছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যদিও সংশোধিত বাজেটের এ আকার কমে দাঁড়ায় ৭ লাখ ১৪ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা।
ওএফএ/এসকেডি