বাহারি পোশাকে সেজে ক্রেতার অপেক্ষায় ফ্যাশন হাউস

আসন্ন রমজানের ঈদকে ঘিরে বাহারি ডিজাইনের পোশাকে সেজেছে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো। করোনার বিধিনিষেধের মধ্যে খোলা রাখার অনুমতি পেয়ে খুশি হলেও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা পাচ্ছে না এসব ফ্যাশন হাউস। সরকারি ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার ক্রেতা সমাগম মোটামুটি ভালো থাকলেও রোববার আবার কমে গেছে ক্রেতার সংখ্যা।
রোববার (২ মে) রাজধানীর খিলগাঁও ও মৌচাকের বেশ কয়েকটি দেশীয় ফ্যাশন হাউস ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

ফ্যাশন সচেতনদের মাঝে স্বতন্ত্র অবস্থানে থাকা সেইলরের সারাদেশে রয়েছে ১৯টি শো-রুম। এর মধ্যে রাজধানীতেই ৯টি। কথা হয় খিলগাঁওয়ের সেইলরের শাখা ম্যানেজার কল্লোলের সঙ্গে। ঢাকা পোস্টকে হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, শুক্রবার ও শনিবার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৫০-৫৫ শতাংশ বিক্রি করতে সক্ষম হলেও আজ (রোববার) অবস্থা খুবই হতাশাজনক। যদিও রমজান মাসে সাধারণত সকালে ক্রেতা কম থাকে। সন্ধ্যার পর বিক্রি কিছুটা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু করোনার কারণে লকডাউনে রাত ৮টার মধ্যেই দোকান বন্ধ করতে হয়। ফলে সন্ধ্যায় ঈদের বিক্রি হওয়ার যে সম্ভাবনা থাকে, সেটা হচ্ছে না। ২০২০ সালেও ব্যবসা ছিল না, এবারও যদি এভাবে চলতে থাকে কীভাবে ব্যবসা চলবে জানি না।

অপর ফ্যাশন হাউস জেন্টেল পার্ক। রাজধানীর বেইলি রোড ও খিলগাঁওয়ে তাদের পৃথক শো-রুম রয়েছে। এর মধ্যে খিলগাঁওয়ের জেন্টেল পার্কের শো-রুম চলতি বছরের জানুয়ারিতে উদ্বোধন হয়েছে। ক্রেতা সমাগম ও বিক্রির সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ব্যবস্থাপক সুমন বলেন, আমরা বিপদে পড়েছি। জানুয়ারিতে আউটলেট উদ্বোধন হওয়ার কিছুদিন পরই করোনা প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। অনেকদিন দোকান বন্ধ ছিল, এখন সীমিত পরিসরে চলছে। বিক্রির অবস্থা খুবই খারাপ। লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ পূরণ করাই আমাদের জন্য কষ্টকর। যদি রাতে একটু বেশি সময় দোকান খোলা রাখতে পারতাম, তাহলে হয়ত বিক্রি একটু বৃদ্ধি পেত। 
আসন্ন ঈদকে ঘিরে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো পাঁচ থেকে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই লক্ষ্য অর্জন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ অর্জন করাই কষ্টকর হবে।

এ বিষয়ে ফ্যাশন এন্ট্রাপ্রেনার্স অব বাংলাদেশের বর্তমান সভাপতি ও অঞ্জনসের স্বত্বাধিকারী শাহীন আহমেদ বলেন, সারাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার ফ্যাশন হাউস আমাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। গত বছর বৈশাখে তো একেবারেই বেচা-বিক্রি হয়নি। এবার শুরুতে কিছুটা হয়েছিল। ঈদকে কেন্দ্র করে বড় আয়োজন ছিল। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের দেওয়া সর্বাত্মক বিধিনিষেধ চলছে। এখন ঈদে যদি আশানুরূপ বিক্রি না হয়, তাহলে এই খাত আবার বড় রকমের ক্ষতির কবলে পড়বে, যা কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে না।
আরএম/এইচকে