কমেছে আলু পেঁয়াজের দাম, সবজির দাম স্থিতিশীল

নতুন বছরের শুরুতে রাজধানীর কাঁচাবাজারে কমেছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় শীতকালীন বেশিরভাগ সবজি মিলছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
ঢাকার মতিঝিল, মুগদা ও খিলগাঁও বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুড়িকাটা দেশি পেঁয়াজ মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি ছিল। ৫০ টাকার আলু এখন ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে একটু বাছাই করা বড় আকারের আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়।
রোববার মুগদার সবজি বিক্রেতা আলমগীর বলেন, গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে আলু ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। কারণ গত সপ্তাহে আলু বিক্রি করেছি ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, আজকে বিক্রি করছি ৪০ টাকায়। পেঁয়াজও একই দামে বিক্রি করছি। শীতের সবজি শিম, মূলা, শালগম, বেগুন, ফুলকপি আগের দামেই বিক্রি করছি।
তিনি বলেন, সরবরাহের ওপর নির্ভর করে সবজির বাজারে দাম প্রতিদিনই কিছুটা ওঠানামা করে। তবে বেশ কিছুদিন দরে বাজার স্বাভাবিক রয়েছে।
বাজারে প্রতিকেজি শিম, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। গোল বড় বেগুন ৫০ টাকা। শালগম ও পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, মূলা ২০ টাকা। ঝিঙা, চিচিঙ্গা ও ধুনদল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। গাজর, শসা, ঢেঁড়শ ও কচুর লতি ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার পিস ২৫-৩০ টাকা, করলা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। টমেটোর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৪০ টাকা। সব চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মটরশুটি, কেজি ১০০ টাকা।
বাজারে মোটামুটি মাঝারি আকারের একটি ফুলকপির দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা। বড় ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। বাঁধা কপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা।

লাউ ও কুমড়া প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩০-৪০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ১৫-২০ টাকাদরে বিক্রি করছে। কাঁচা মরিচের কেজি এখন ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়।
প্রতি আঁটি লাল শাক, পালং শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পুঁই শাক ও ডাটা শাক ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লাউ শাক বিক্রি হচ্ছে প্রতি আঁটি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি রুই, কাতলা ২৫০-৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ছোট ১১০ থেকে ১৫০ টাকা আর বড় তেলাপিয়া ১৮০-২০০, সিলভার কার্প ১৪০-১৬০ টাকা, আইড় ৪০০-৬০০ টাকা, মেনি মাছ ৩০০-৫০০, বাইলা মাছ প্রকার ভেধে ৩০০-৫০০ টাকা, বাইন মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০-৮০০ টাকা, পুঁটি ২০০-৩৫০ টাকা, পোয়া ৩০০-৪৫০ টাকা, মলা ৩২০-৩০০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৪০০ টাকা, টাকি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা,শোল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, বোয়াল ৪০০-৬০০ টাকা, শিং ৩৮০-৫০০, দেশি মাগুর ৪০০-৫০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৬০-২০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়।
মাছ বিক্রেতা আলমগীর বলেন, মাছের সরবারহ ভালো। দেশি মাছ বেশি আসছে। দাম আগের মতোই আছে। সরবরাহ ঠিক থাকলে আগামীতে দাম আরও কমবে।
রাজধানীর বাজারগুলোতে, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। এছাড়াও এক কেজি ওজনের প্রতিপিস কক মুরগি ২৩০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম (লেয়ার) প্রতি ডজন ৯০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং হাঁসের ডিম ১৫০ টাকা।
মালেক মিয়া নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সবজির দাম কিছুটা কম। আলু ও পেঁয়াজের দামও কমেছে। তবে ফুলকপির দাম একটু বেড়েছে। কিন্তু গ্রামের কৃষক যে দামে সবজি বিক্রি করছে আমরা ঢাকায় তার চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি দামে সবজি কিনছি। তার মানে পাইকার আর খুচরা বিক্রেতারাই দাম বেশি নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এসআই/এনএফ