চাল নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে যাচ্ছি: বাণিজ্য

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

০৩ জানুয়ারি ২০২১, ০৪:৩১ পিএম


চাল নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে যাচ্ছি: বাণিজ্য

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চাল নিয়ে ব্যবসায়ীদের একটি অসাধু গ্রুপ সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে, এমন খবর আমাদের কাছে আছে। এ গ্রুপটিকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাব।

রোববার (০৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতার আহআন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা যেন সুযোগ না নেয় সেজন্য জনমত সৃষ্টি করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা শক্ত অবস্থানে যাচ্ছি, বিভিন্ন মিটিং করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চাল-ডালের দামটা বেড়েছে, কিন্তু অনেক আইটেমের দাম কমে গেছে। শাক-সবজি, আলুর দাম কন্ট্রোলে আছে। পেঁয়াজের দামও কমে আসছে।   

চালের দাম বাড়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে চালের দামটা বেড়েছে তার অন্যতম কারণ হলো যথেষ্ট স্টক সরকারের কাছে নেই। যার কারণে সরকার খুব শক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমদানি করার। যদিও এটি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়, তারপরও আমি যতদূর জানি তারা ইম্পোর্ট করার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।অলরেডি তারা ৫০ হাজার টন করে তিনটি কনসাইনমেন্টের এলসি ওপেন করে দিয়েছে, আরও দুইটি ওপেন করবে। একটা সরকার নিজে আমদানি করছে।

‘দ্বিতীয়ত যারা বেসরকারি বিনিয়োগকারী তাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে যেন তারাও ইম্পোর্ট করে। আর সাশ্রয়ী মূল্য রাখতে ৬২ শতাংশ যে ট্যাক্স ছিল সেটা ২৫ শতাংশে নিয়ে আসছে। নতুন ব্যবসায়ীদের একদিনের মধ্যে লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যথেষ্ট পরিমাণ তারা উৎসাহিত করছেন যাতে প্রাইভেট ইম্পোর্টাররাও সুযোগটা নেয়।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্য তেলের ব্যাপারে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দামটা বেড়ে গেছে। সেজন্যই দামের প্রভাবটা আমাদের দেশে পড়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা বার বার তাদের সঙ্গে মিটিং করছে যে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কি পরিমাণ বাড়ছে এবং দেশের বাজারে কি পরিমাণ বাড়ছে। যেটা আমাদের ইম্পোর্ট করে চলতে হয় সেটাতো আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর আমাদের ভরসা করতেই হবে। কিন্তু এ সুযোগটা নিয়ে কেউ যেন এক্সট্রা বেনিফিটটা না নেয়, সেটা আমরা লক্ষ্য রাখব এবং চেষ্টা করব।

সবসময়ই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছেন যারা, সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করেন। আমরা চেষ্টা করব আন্তর্জাতিক বাজারে যে দামটা বেড়েছে আমাদের দেশে যেটা বাড়বে সেটা যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

তিনি বলেন, সরকার প্রোঅ্যাকটিভ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আমি মনে করি সেক্ষেত্রে চালের দামটা কমবে। ধানের দাম কমেছে একশ টাকা, চালের দাম ৮০-৯০ টাকা কমেছে। গতকাল আমার সঙ্গে কথা হয়েছে খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে, তিনি আমাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। সবদিকেই চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে সমস্যাটা ওভারকাম করতে পারি।

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার জন্য ৭ জানুয়ারি সারাদেশে মানববন্ধন করবে বিএনপি—বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে আপনি কি মনে করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি মূলত বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যত বেশি বেড়েছে, তারচেয়ে একটা পলিটিক্যাল প্রোগ্রাম দেওয়ার জন্যই তারা দিয়েছে; আমরা সেটা লক্ষ্য করছি। পেঁয়াজের দাম যখন ২০০ টাকা উঠেছে তখন তারা কিন্তু পলিটিক্যাল প্রোগ্রাম দেয়নি। এখন দিচ্ছে, কারণ তারা নতুন বছরে নতুন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে হবে, তাই তারা এই কর্মসূচি দিয়েছে।

এনএম/এসএম

Link copied