নামের মিলে চাপে বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড স্লাইকো

ব্র্যান্ড নামের কাছাকাছি মিলের কারণে চাপে কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশীয় কোম্পানি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড স্লাইকো। এমন অভিযোগের কথা তুলে ধরেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মুস্তাফাইন মুনির।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরাটন হোটেল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগের কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের খুব কম সংখ্যক ব্র্যান্ড আছে যা বৈশ্বিক পর্যায়ে স্বীকৃত। স্লাইকো ফাইবার ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, বাংলাদেশের সমৃদ্ধ পোশাক শিল্পের জন্য টেকসই ফাইবার সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। ২০১৪ সাল থেকে এটি ২০টিরও বেশি দেশে ট্রেডমার্ক করা হয়েছে এবং ব্র্যান্ড নাম হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে।
পরিচালক বলেন, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও সম্মানিত একটি ব্র্যান্ড গড়ে তুলতে বহু বছরের পরিশ্রম, ব্যয় এবং প্রতিশ্রুতির সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। কখনও কখনও পশ্চিমা কোম্পানিগুলোই উন্নয়নশীল দেশগুলোর ব্র্যান্ড অধিকার উপেক্ষা করে। ২০২১ সালে সুইস জুতার বিশাল প্রতিষ্ঠান অনএজ তাদের নিজস্ব পুনর্ব্যবহৃত পোশাক প্রকল্প স্লাইকোন চালু করে এবং একই সময়ে আমাদের স্লাইকো ব্র্যান্ডকে প্রধান বাজারগুলোতে কাজ করতে বাধা দিতে শুরু করে। তাদের যুক্তি ছিল যে স্লাইকো নামটি তাদের স্লাইকোন ব্র্যান্ডের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

এরপর থেকে, স্লাইকো তার প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের অধিকার রক্ষা করে চলেছে, যাতে তারা তাদের ফাইবার ও তা থেকে তৈরি পণ্যগুলোর বিপণন করতে পারে। একইসঙ্গে, স্লাইকো কোম্পানি অনএজকে আলোচনার মাধ্যমে একটি বন্ধুসুলভ সমাধানে পৌঁছানোর সুযোগও দিয়েছে, যাতে উভয় ব্র্যান্ডই তাদের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারে এবং তাদের ব্যবসায়িক লক্ষ্য অর্জন করতে পারে।
তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে, অনএজ মনে করছে যে স্লাইকো একটি ছোট বাংলাদেশি কোম্পানি হওয়ায়, এটি একাধিক দেশে নিজেদের ব্র্যান্ড রক্ষা করতে পারবে না। ফলে তারা সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন দেশে স্লাইকো ব্র্যান্ডের ব্যবহারকে বাধাগ্রস্ত করছে। ফলে, স্লাইকো এখন এই চ্যালেঞ্জটি জনসমক্ষে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সচেতনতা গড়ে তুলতে চায়। যে বড় আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো কখনও কখনও উন্নয়নশীল দেশের ছোট ব্র্যান্ডগুলোর অধিকার লঙ্ঘন করে। আমরা আশা করি অনএজ এবং অন্যান্য বৈশ্বিক ব্র্যান্ড উন্নয়নশীল দেশের ব্র্যান্ডগুলোর মেধাস্বত্বের অধিকারকে সম্মান করবে এবং তাদের টেকসইভাবে বাড়তে সহায়তা করবে।
সাইক্লোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর প্রায় ৫০ মিলিয়ন টন গার্মেন্টস বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করে। সাইক্লো সুতা ব্যবহার করে, স্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারকরা ১৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন পোশাক তৈরি করেছে, যার (ফ্রি অন বোর্ড) মূল্য ১৩২ মিলিয়ন ডলারের বেশি।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানান, ২০১০ সাল থেকে সাইক্লো প্রথম পুনর্ব্যবহারযোগ্য স্পিনিং মিল হিসাবে বিনিয়োগ করছে, যা স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের মালিকানাধীন বেশিরভাগ শেয়ার। এছাড়া এখন সাইক্লো প্রকল্পের বিনিয়োগ ২০ মিলিয়নের ডলারের বেশি এবং ৮০০ এর বেশি মানুষের জন্য চাকরি তৈরি করেছে।
এসআই/এসআই