বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে মালয়েশিয়া

Dhaka Post Desk

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৬ মে ২০২১, ১০:১৪ পিএম


বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে মালয়েশিয়া

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে। মালয়েশিয়া এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের নীতিমালা সহজ করা হয়েছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন আকর্ষণীয় স্থান।

বুধবার (২৬ মে) বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া এফটিএ : চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্র। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। এফটিএর মতো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে টেকসই বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য বাংলাদেশ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

dhakapost

প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজীকরণের সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্খানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। পৃথিবীর অনেক দেশ এ ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ সৃষ্টি করতে বাংলাদেশ কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি ১৯৭৭, সমুদ্র পরিবহন চুক্তি ১৯৮৩, অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা চুক্তি ১৯৯২ এবং দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি ১৯৯৪ রয়েছে। এফটিএ বা পিটিএ হলে তা হবে দেশটির সঙ্গে পঞ্চম বাণিজ্য চুক্তি।

বিএমসিসিআইর প্রেসিডেন্ট রাকিব মোহাম্মদ ফখরুলের (রকি) সভাপতিত্বে এবং সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিষয়ের ওপর কি-নোট উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড টেরিফ কমিশনের সদস্য ড. মোস্তফা আবীদ খান।

সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিম। এ ছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার, বিএমসিসিআইয়ের বিদায়ী সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসাইন, বহুজাতিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক মালয়েশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবরার আনোয়ার, বিএমসিসিআইয়ের সহসভাপতি আনোয়ার শহীদ প্রমুখ।

এসআই/এসকেডি

Link copied