২ লাখ অবৈধ সিগারেট জব্দ

গাজীপুরের কৌলটিয়ায় ভার্গো সিগারেট ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ব্যান্ডরোলসহ সিগারেট জব্দ করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। একই সঙ্গে ভার্গো সিগারেট ফ্যাক্টরির ব্যাংক হিসাব তলব করেছে সংস্থাটি।
অভিযানে ১ লাখ ৯৯ হাজার শলাকা অবৈধ সিগারেট ও ১ লাখ ৫৬ হাজার ব্যান্ডরোল জব্দ করা হয়েছে। একইসাথে পুরোনো ও ব্যবহৃত ব্যান্ডরোলের ২টি কার্টনও পাওয়া যায়।
রোববার ও সোমবার পৃথক অভিযানে গাজীপুর ও রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএস এলাকায় অবৈধ ব্যান্ডরোল ও সিগারেটসহ আরও গোপনীয় নথিপত্র উদ্ধার করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা টিম।
ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, গাজীপুরের কৌলটিয়ায় ভার্গো সিগারেট ফ্যাক্টরিতে ভ্যাট গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়েছেন। এতে অবৈধ ব্যান্ডরোলসহ বিপুল পরিমাণ সিগারেট জব্দ করা হয়েছে। একই সাথে ভার্গো সিগারেট ফ্যাক্টরির তিনটি ব্যাংক আ্যকাউন্ট হিসাব তলব করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত সম্পন্ন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভ্যাট গোয়েন্দা সূত্র জানা যায়, ভার্গো সিগারেট কোটি কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছিল। ভ্যাট আইন অনুযায়ী লো ব্রান্ডের সিগারেটের ওপর বিক্রয় মূল্যের ওপর ৭৩ শতাংশ ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য। ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর এই অভিযান চালায়। রোববার (৩০ মে) মধ্যরাতে এই অভিযান চালানো হয়। সংস্থার উপ-পরিচালক তানভীর আহমেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

প্রাথমিকভাবে হিসেব করে অবৈধ সিগারেট পাওয়া যায় ১ লাখ ৯৯ হাজার শলাকা। অন্যদিকে দুটি কার্টন থেকে ১ লাখ ৫৬ হাজার পিস ব্যান্ডরোল পাওয়া যায়। একইসাথে, ফ্যাক্টরির গোপন কক্ষে আরও দুটি কার্টন পাওয়া যায়। ওই দুই কার্টনে পুরোনো ও ব্যবহৃত ব্যান্ডরোল পাওয়া যায়।
ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার করা এই জাল ও অবৈধ ব্যান্ডরোল উৎপাদিত সিগারেটে ব্যবহার করে বাজারজাত করা হতো। এ কারখানায় উৎপাদিত লো ব্রান্ডের সিগারেটগুলো সিলেট, বরিশাল ও কুমিল্লার প্রত্যন্ত এলাকায় বাজারজাত করা হয়।
সূত্র আরো জানায়, প্রতিষ্ঠানটি ভার্গো টোব্যাকো লিমিটেড নামে ভ্যাট নিবন্ধন নিয়েছে এবং এটি ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটের আওতায় ভ্যাট প্রদান করে আসছিল। ভ্যাট আইন ভঙ্গের দায়ে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরে তদন্ত চলমান রয়েছে। এই তদন্তের অংশ হিসেবে বারিধারা ডিওএইচএসে প্রতিষ্ঠানটির সদর দফতরে ভ্যাট গোয়েন্দারা আরেকটি অভিযান চালায়। সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যা পাওয়া গেছে।
আরএম/এনএফ