১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি, কর কর্মকর্তা লিংকন রায় বরখাস্ত

নথি গায়েব করে ১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে কর অঞ্চল-৫ এর উপকর কমিশনার লিংকন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি দুদকের অনুমোদিত মামলার আসামি।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা চিঠি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বরখাস্তের আদেশে বলা হয়েছে, লিংকন রায় উৎসে কর ব্যবস্থাপনা ইউনিটে কর্মরত থাকাকালে ২০২০-২০২১ এবং ২০২১-২০২২ করবর্ষের নিষ্পত্তিকৃত আয়কর মামলার নতুন আদেশপত্রে নতুন কর দাবি সৃষ্টি করে সরকারের ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫৩ টাকা রাজস্ব ক্ষতি সাধন করায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কার্যধারা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সেহেতু, উপকর কমিশনার লিংকন রায়কে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) অনুযায়ী চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
আরও পড়ুন
এর আগে নথি গায়েব করে ১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে লিংকন রায় ও ঢাকা কর অঞ্চল-৫ এর সাবেক কর কমিশনার আবু সাঈদ মো. মুস্তাকসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন করে দুদক। শিগগিরই দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম মামলাটি দায়ের করবেন জানা গেছে।
অনুমোদিত মামলার আসামিরা হলেন- কর অঞ্চল-৫-এর কর কমিশনার আবু সাঈদ মো. মুস্তাক, অতিরিক্ত কর কমিশনার গোলাম কবীর এবং উপ-কর কমিশনার লিংকন রায়।
অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ করবর্ষে ধামশুর ইকোনমিক জোন লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটির বিপরীতে কর দাবির পরিমাণ ছিল মোট ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। কিন্তু কর্মকর্তা বদলিতে নতুন কর্মকর্তা নথিতে কর নির্ধারণী আদেশ পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে কর দাবির পরিমাণ কমিয়ে যথাক্রমে শূন্য টাকা ও এক হাজার টাকা করে রাজস্ব ফাঁকি দিতে সরাসরি সহায়তা করেন। শুধু তাই নয়, মূল কর নির্ধারণী আদেশের নথিও গায়েব করে দেওয়া হয়, যা দুদকের অভিযানেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গত ৯ জুলাই নথিপত্র গায়েব করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-৫ থেকে ১৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকার কর ফাঁকির ঘটনায় এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায় দুদক। অভিযানেও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
আরএম/এমজে